—প্রতীকী ছবি।
মাঝেমাঝে ফুরসত পেলেই নার্সারিতে ঢুঁ মারেন অনেকেই। একটা-দু’টো করে গাছের চারা কিনে এনে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলেন ছোট্ট বাগান। তবে বাগান তৈরি করা সহজ হলেও গাছের চারা চেনা কিন্তু বেশ কঠিন। গাছ কেনার বিষয়ে একেবারেই যাঁদের অভিজ্ঞতা নেই, ফলনযোগ্য চারাগাছ কেনার ক্ষেত্রে ঠকে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। অনেক সময়ে দেখা যায়, চারাগাছ টবে লাগানোর কিছু দিন পরেই মারা যাচ্ছে। অনেকে ভাবেন সঠিক যত্নের অভাবে বোধ হয় এমন হয়। সেটা একটা কারণ হলেও সব সময়ে তা না-ও হতে পারে। চারাগাছের মান ভাল না হলেও এমন হয়। ভাল চারাগাছ চেনার কয়েকটি কৌশল রয়েছে। সেগুলি জানা থাকলে ঠকে যাওয়ার ভয় নেই।
১) নার্সারিতে একই গোত্রের বিভিন্ন চারাগাছ থাকে। কিন্তু সব গাছগুলি একই ভাবে বেড়ে ওঠে না। কিন্তু গাছ কেনার সময়ে দেখে নিন, সেটির বৃদ্ধি ভাল হয়েছে কি না। যদি দেখেন এখনও তেমন বড় হয়নি, তা হলে না নেওয়াই ভাল।
২) অনেক গাছের ডালপালা খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়। তেমন গাছ বাগান করার জন্য উপযুক্ত নয়। কচি শাখাপ্রশাখাযুক্ত গাছ কেনাই ভাল।
৩) নার্সারিতে গিয়ে ফুল ফুটে আছে কিংবা ফল হয়েছে, তেমন গাছগুলিতেই চোখ যায়। কিন্তু সেগুলি দৃশ্যসুখ দিলেও ফলন ভাল হয় না। টবে পোঁতার পরেই ফল এবং ফুল ঝরতে শুরু করে। এমনকি, যত্নের এ দিক থেকে ও দিক হলে মারাও যেতে পারে। বরং সঠিক যত্নের পর ফল ধরবে, ফুল ফুটবে এমন গাছের চারা কিনে আনুন।
৪) চারাগাছ ভাল কি না তা বোঝার অন্যতম উপায় হল গোড়ার প্রকৃতি। লক্ষ করুন গাছের গোড়া মাটিতে শক্ত ভাবে আঁকড়ে আছে কি না। অনেক সময়ে নতুন পোঁতা গাছকে পুরনো বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। তাই গাছের ডাল ধরে আলতো করে ঝাঁকিয়ে দেখুন গাছের গোড়ায় শক্ত মাটি আছে কি না। গোড়া শক্ত হলে কিছু হবে না। আর যদি নতুন মাটিতে বসানো হয়, সে ক্ষেত্রে সহজেই খুলে আসবে।
৫) কেনার আগে এক বার চারাগাছের উচ্চতা মেপে নিন। ২ থেকে ৩ ফুটের মধ্যে হলে ভাল। এ উচ্চতার চারাগাছ টবে হোক কিংবা মাটিতে, যে কোনও জায়গায় সহজে মানিয়ে নিতে পারে।