কী ভাবে যত্ন করলে জবাগাছ ফুলে ভরে উঠবে? ছবি: ফ্রিপিক।
বাগানের শোভা বৃদ্ধিতে শখ করে জবাগাছ লাগিয়েছেন। কিন্তু সেই গাছ ঠিকমতো বেড়ে উঠছে না? এ নিয়ে মনমরা না হয়ে জেনে নিন, কী ভাবে যত্ন করলে জবাগাছ ফুলে ভরে উঠবে?
চারা
প্রথম ধাপে চারা বসাতে হবে। এ জন্য নার্সারি থেকে ভাল মানের চারা বেছে নিতে হবে। একটু মোটা কাণ্ডের সুস্থ চারা কিনে নিন। ১২ ইঞ্চির টবে এই গাছ বসাতে পারেন।
মাটি প্রস্তুত
টবে মাটি প্রস্তুতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাটির মানের উপর গাছের বাড়বৃদ্ধি অনেকাংশ নির্ভরশীল। গাছের গোড়ায় জল যাতে না জমে খেয়াল রাখতে হবে। তাই শুরুতে পাথর ও বালি দিয়ে টবের নীচের অংশ ভরাট করে ফেলুন। মাটি প্রস্তুতির জন্য লাগবে ৫০ শতাংশ দোআঁশ মাটি, ১০ শতাংশ বালি। চারা বসিয়ে আস্তে আস্তে গোড়ার মাটি শক্ত করে দিতে হবে।
রোদ-হাওয়া
জবাগাছ বেড়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট আলো এবং হাওয়ার প্রয়োজন। তবে শুরুতেই চারা চড়া রোদে রাখলে শুকিয়ে যেতে পারে। প্রথম দিকে গাছটি ছায়া জায়গায় রাখতে হবে। একটু বড় হলে রোদে রাখুন।
জল
নিয়মিত জল দিতে হবে। তবে মাটিতে জল জমে গেলে তা গাছের ক্ষতি করতে পারে। সপ্তাহে এক দিন মাটি খুঁড়ে দিলে গাছ ভাল বাড়বে।
সার
গাছে ফুল আসার জন্য প্রয়োজন মতো সার প্রয়োগ করা জরুরি। জৈব সার ব্যবহার করা ভাল। তরল, শুকনো জৈব সার দিতে পারেন। ফুল ফোটার আগে বা পরেও সার প্রয়োগ করা দরকার। পেঁয়াজের খোসা, কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি করে নেওয়া যায় জবাগাছের জন্য। ১০০ মিলিলিটার তরল পেঁয়াজ সার ও ৭০ মিলিলিটার কলার খোসা থেকে তৈরি সার ছেঁকে ২ লিটার জলে মিশিয়ে নিতে হবে। গাছে ১০০ মিলিলিটার তরল সার প্রয়োগ করতে পারেন।
কীটনাশক
গাছে ছত্রাকের আক্রমণ হয়। তেমনটা হলে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রে দেখতে হবে কীটনাশক স্প্রে করার সময় তা যেন মাটিতে না পড়ে। তা হলে গাছের গুণাগুণ নষ্ট হতে পারে।