জৈব সারে বাড়িতেই ফলাতে পারেন ব্রকোলি। ছবি:ফ্রিপিক।
শীতের বাজার মানেই রকমারি শাকসব্জি। সেই তালিকায় থাকায় ব্রকোলি। এই সব্জিতে ডায়েটরি ফাইবার ভিটামিন সি, বি৬, ম্যাগমেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম থাকে। ফুলকপির মতোই দেখতে হলেও, এই সব্জির দাম তুলনায় বেশি। চাইলে শীতের মরসুমে ছাদ হোক বা বারান্দা, টবেই ফলাতে পারেন সব্জিটি।
চারা: বীজ থেকে চারা তৈরি হওয়ার জন্য নরম এবং আর্দ্র মাটির দরকার। মাটি ভাল করে খুঁড়ে বীজ ছড়িয়ে উপর থেকে জল দিতে হবে। তবে, জল জমে থাকলে চলবে না। বীজ থেকে চারা বার হলে এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে রোদের তাপ এলেও সরাসরি সূর্যালোক পড়বে না। তবে শীতে চাষ শুরু করতে গেলে নার্সারি থেকে চারা কিনে আনতে পারেন।
মাটি: ব্রকোলির জন্য মাটি নরম এবং ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। ৫০ শতাংশ মাটি, ৩০ শতাংশ ভার্মি কম্পোস্ট এবং ২০ শতাংশ কোকোপিট মিশিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে দিতে হবে নিম খোল। টবে চাষ করলে ১০ ইঞ্চি বা তার চেয়ে বড় টব বেছে নিতে পারেন।
সূর্যালোক এবং জল: ব্রকোলি চাষের জন্য সূর্যালোক প্রয়োজন। চারা ছোট থাকলে ছায়াযুক্ত স্থান এবং বড় হলে সরাসরি রোদে রাখা যায়। গাছে জল যেমন দিতে হবে, তেমন খেয়াল রাখতে হবে গোড়ায় যেন তা না জমে। না হলে গাছের ক্ষতি হবে।
সার: মোটামুটি ৫০ দিনেই গাছ ভাল ভাবে বেড়ে উঠবে। দু’মাসে ব্রকোলিও ধরতে শুরু করবে। তবে গাছ বেড়ে ওঠার সময় জৈব সার দিতে পারেন। গোবর সার, নিম খোল, শুকনো পাতা একটি পাত্রে ঢাকা দিয়ে ১০ দিন রেখে দিতে হবে। যোগ করতে হবে ১০০ গ্রাম লাইম। আরও ৫ দিন এ ভাবে রাখতে হবে। তার পর এক কাপ সার ১০ কাপ জলে মিশিয়ে তা মাটিতে দিতে হবে।
পোকামাকড়ের উৎপাত: গাছে পোকা ধরলে ১০০ গ্রাম নিম কেকের সঙ্গে কয়েক কোয়া রসুন মিশিয়ে নিতে হবে। ৩-৪ লিটার জলে মিশ্রণটি দিয়ে ১২ ঘণ্টা রাখতে হবে। তার পর তা গাছে স্প্রে করতে হবে। গাছ ঠিকমতো বৃদ্ধি পেলে ৭০ দিনেই ব্রকোলি বড় হয়ে যাবে।