বাড়ি সাজানোর পাশাপাশি বাড়ি পরিষ্কার রাখাও কিন্তু সমান ভাব জরুরি।
সারা দিন পর গলদঘর্ম হয়ে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর ঘরদোর নোংরা অগোছালো হয়ে থাকতে দেখলে মন বিরক্তিতে ভরে ওঠাটা স্বাভাবিক। তবে এটাও ঠিক, চারিদিকের এত ধুলো আর ধোঁয়ায় বাড়ি ঘর পরিষ্কার করে রাখলেও কী ভাবে যেন পরমুহূর্তে ধুলোয় ধূসরিত হয়ে ওঠে। বাড়ি সাজানোর পাশাপাশি বাড়ি পরিষ্কার রাখাও কিন্তু সমান ভাব জরুরি। এই ব্যস্তবহুল জীবনে রোজ ঘরদোর পরিষ্কার করার সময় পান না অনেকেই। তবে একটু মাথা খাটালেই ছুটির দিনে বা কাজ থেকে বাড়ি ফিরেও অল্প সময় ও পরিশ্রম ব্যয় করেও চকচকে করে তুলতে পারেন নিজের বাড়ি।
আসবাবের উপর দিক থেকে ঝাড়া শুরু করুন
ড্রেসিং টেবিল, আলমারি বা অন্যান্য যেকোনও আসবাবপত্রের ধুলো ঝাড়ার সময়ে নীচ থেকে নয়, উপর থেকে ঝাড়া শুরু করুন। এতে উপরের ধুলো অতি সহজেই নীচে পড়বে। সহজেই উপরের এবং নীচের ধুলো একসঙ্গে পরিষ্কার করে নেওয়া যাবে। পরিশ্রমও লাঘব হবে।
ঘরের কোণ ছাড়াও বইয়ের তাকেও খুব দ্রুত ধুলো জমে। ছবি: সংগৃহীত
ভ্যাকুম ক্লিনার ব্যবহার করুন
বাড়িতে এমন অনেক জায়গা আছে যেমন— খাটের তলা, সোফার পিছন, আলমারির পিছন এই জায়গাগুলিতে সব সময় হাত পৌঁছয় না। ফলে এই জায়গাগুলিতে জমে থাকা ধুলো অনেক সময় দৃষ্টির অগোচরে চলে যায়। অথচ এই জায়গাগুলিতেই সবচেয়ে বেশি ধুলো, ঝুল জমে। তাই হাত না গেলে ঝুল ঝাড়ু বা ভ্যাকুম ক্লিনার ব্যবহার করে পরিষ্কার রাখুন।
কার্পেট পরিষ্কার রাখুন
আজকাল অনেকেই বাড়িতে কার্পেট পাতাথাকে। মেঝেতে পেতে রাখা কার্পেটে ধুলো আর ময়লা জমে বেশি। ঝাঁটা দিয়ে কার্পেট পরিষ্কার করতে গেলে কার্পেট থেকে ধুলো ছিটকে এসে নাকে ঢুকতে পারে। তাই মাসে এক বার করে কার্পেট কাঁচতে দিন। এ ছাড়া প্রতি দিন এক বার ভ্যাকুম ক্লিনার চালিয়ে কার্পেট পরিষ্কার রাখতে পারেন।
বইয়ের তাক ঝাড়ুন নিয়মিত
ঘরের কোণ ছাড়াও বইয়ের তাকেও খুব দ্রুত ধুলো জমে। দু’দিন না ঝাড়লে মনে হয় যেন বই নয়, ধুলোর স্তূপ। তাই প্রতি দিন বইয়ের তাক পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। এতে ঘরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।