স্নানঘরে থাক সৌন্দর্যের ছোঁয়া। ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিনের ব্যস্ততা, ক্লান্তি থেকে মুক্তি মেলে সময় নিয়ে স্নান করলে। কিন্তু সেই স্নানাগারে যদি ঢুকতেই ইচ্ছা না করে, তা হলে তো ভারি বিপদ! যেখানে কিছুটা সময় একেবারে একান্তে কাটাতে হয়, সেই জায়গার পরিচ্ছন্নতা থেকে সৌন্দর্য, সবটাই গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য কিছু রদবদলেই চেনা স্নানাগারেও আনতে পারেন নতুনত্বের ছোঁয়া।
রকমারি তাক
শ্যাম্পু থেকে সাবান, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখলেই স্নানঘর দেখতে পরিচ্ছন্ন লাগবে। বেসিনের উপর কাঠের ক্যাবিনেট ব্যবহার করতে পারেন। আবার দেওয়ালের কোণের অংশটা কাজে লাগিয়ে কাচের তাক তৈরি করতে পারেন। আয়না দেওয়া প্লাস্টিকের ক্যাবিনেটও ব্যবহার করতে পারেন সজ্জা বদলাতে।
আয়না
রকমারি আয়না ব্যবহারে বদলে যেতে পারে স্নানঘরের একঘেয়ে ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
স্নানাগারে আয়না থাকা জরুরি। আবার সেই আয়না দিয়ে আলোকজ্জ্বল করে তোলা যায় ছোট্ট বদ্ধ জায়গাটিও। ডিম্বাকার, গোলাকার, ঝিনুকের আয়না দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন স্নানঘর। কোনও কোনও আয়নার সঙ্গে তাক থাকে। আয়নার সঙ্গে আলোর যুগলবন্দি ঘটাতে পারলে রূপ খুলবে আরও।
টাইলস ও রং
যদি স্নানঘরের ভোল বদলের পরিকল্পনা থাকে, তা হলে পুরনো টাইল্স বদলে দিতে পারেন। সাদার উপর টাইল্স বাছাই করলে তুলনামূলক ভাবে স্নানঘরে আলো বেশি মনে হবে। টাইল্সের পাশাপাশি সঠিক রং বাছাইও জরুরি। যে হেতু স্নানঘরে যথেষ্ট আলো-বাতাস ঢোকে না, তাই এমন রং বেছে নিন, যাতে আলো বেশি মনে হয়। গাঢ় রং ব্যবহার না করাই ভাল।
সুদৃশ্য জিনিসের ব্যবহার
তরল সাবান রাখার জন্য সুদৃশ্য পাত্র বেছে নিন। ক্যাবিনেটে যে জিনিসগুলো ধরবে না বা যেগুলো প্রতিদিন ব্যবহার হচ্ছে না, সেগুলো ট্রে-তে গুছিয়ে রাখলে সুন্দর লাগবে। আবার স্নানাগারে জিনিস রাখার জন্য ছোট-বড় সুদৃশ্য পাত্র ব্যবহার করলেও দেখতে অন্য রকম লাগবে। বেসিনের পাশে জায়গা থাকলে সেরামিকের পাত্রে ‘এসেনশিয়াল অয়েল’ ঢেলে রাখতে পারেন। এতে স্নানঘর সুন্দর গন্ধ খেলা করবে।
সবুজের ছোঁয়া
স্নানঘরের সঙ্গে মানানসই গাছ রাখুন। কৃত্রিমের চেয়ে আসল সবুজের ছোঁয়ায় ছোট্ট জায়গাটি আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। মানিপ্ল্যান্ট, স্নেকপ্ল্যান্ট, লাকি ব্যাম্বু দিয়ে সাজাতে পারেন স্নানের ঘরটি।