রান্নাঘর সুন্দর করে সাজালে, শরীর-মন— দুই-ই থাকবে ভাল।
বাড়িতে একবেলা রান্না হলেও বাড়ির এই ঘরটিতে দিনের বেশ কিছুটা সময় কাটাতে হয়। তাই একঘেয়েমি কাটাতে মাঝে মাঝে এই ঘরের একটু ভোলবদল করা প্রয়োজন। তা না হলে রান্না করার উৎসাহও কমে যেতে পারে। আর তখনই বাইরে থেকে অ্যাপের মাধ্যমে খাবার আনিয়ে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এক টানা বাইরের খাবার খেয়ে নানা রকম শারীরিক গোলমালও দেখা দেয়। তাই রান্নাঘর সুন্দর করে সাজালে, শরীর-মন— দুই-ই থাকবে ভাল।
কিন্তু রান্নাঘরের ভোলবদল মানেই কি গুচ্ছের টাকা খরচ এবং এক রাশ ভোগান্তি? তা কেন হবে? একটু বুদ্ধি খাটালেই খুব কম খরচে এবং অল্প সময়ই হেঁশেল হয়ে উঠবে একদম নতুনের মতো। জেনে নিন, কী করে।
১। পুরো রান্নাঘরে রং করা খুবই সময়সাপেক্ষ। তাই দেওয়ালের রং না বদলে কোনও একটা আসবাব নতুন করে রং করতে পারেন। কিংবা রান্নাঘরের দেওয়াল আলমারির পাল্লাগুলি অন্য ভাবে রাঙিয়ে দিতে পারেন। তা হলে রান্নাঘরের পুরো সাজটাই বদলে যাবে।
২। রান্নাঘরে কিছু মানি প্ল্যান্ট রাখতে পারেন। কাচের বোতলে একটু রং-তুলি দিয়ে এঁকে নিন। তার মধ্যে মানি প্ল্যান্ট রাখলে দেখতে দারুণ লাগবে। এ ছাড়াও ফুল দিয়ে সাজাতে পারেন রান্নাঘরের কাউন্টারটপ। সাধারণ ফুলদানিতে না সাজিয়ে একটু অন্য রকম পাত্র বেছে নিন। যেমন শেষ হয়ে যাওয়া সুগন্ধির বোতল বা রং করা চালের টিনও রাখতে পারেন।
পুরনো হাতা-খুন্তি বদলে একটু অন্য ধরনের রং-বেরঙের রান্নার সরঞ্জাম কিনে সাজিয়ে রাখতে পারেন রান্নাঘরের কাউন্টারে।
৩। রান্নাঘরের দেওয়ালে নানা রকম মজার পোস্টার বাঁধিয়ে রাখতে পারেন। বা পপ আর্ট পিসও রাখতে পারেন। তাতে পুরনো দেওয়ালও নতুন প্রাণ পাবে।
৪। পুরনো হাতা-খুন্তি বদলে একটু অন্য ধরনের রং-বেরঙের রান্নার সরঞ্জাম কিনে সাজিয়ে রাখতে পারেন রান্নাঘরের কাউন্টারে।
৫। রান্নাঘরের টাইলের উপর আঠা দেওয়া কনট্যাক্ট পেপার লাগিয়ে পুরো ঘরের সাজটাই বদলে ফেলতে পারেন। এগুলি খুব সহজেই আপনি অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টের মতো ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।