বাড়ি বা ফ্ল্যাটে একটি বড় ঘর থাকলেই হোম থিয়েটার রাখতে পারবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
কর্মব্যস্ততায় সিনেমা হলে যাওয়ার সময় কোথায়? সোফায় বসে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেই সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ় দেখার মজা নিচ্ছেন বেশির ভাগই। তবে এ কথা ঠিক, হলে গিয়ে সিনেমা দেখার আনন্দই আলাদা। কিন্তু যদি সিনেমা হলের সেই আমেজ ঘরে বসেই পান তা হলে কেমন হয়? যদি কৌশল জানা থাকে, তা হলে ঘরেই বানিয়ে ফেলা যায় ছোট্ট একটা সিনেমা হল বা হোম থিয়েটার। আপনার বাড়ি হোক বা ফ্ল্যাট, জায়গা বাঁচিয়ে অন্দরসজ্জায় সামান্য বদল আনলেই ঘরে বসে নিশ্চিন্তে সিনেমা হলের মতো আমেজ পাবেন।
হোম থিয়েটার রাখতে হলে একটি বড় ঘর চাই। খুব ছোট ফ্ল্যাট হলে সমস্যা হবে। বসার জায়গা বা একটু বড় হল থাকলেই সেখানে নিশ্চিন্তে বানিয়ে নিয়ে পারেন হোম থিয়েটার। সবচেয়ে আগে, এমন একটি দেওয়াল বেছে নিতে হবে যেখানে দরজা বা জানলা নেই। আসবাবও কম থাকলে ভাল হয়। সেই দেওয়ালে লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে প্রমাণ মাপের এলইডি টিভি, কিংবা উচ্চ মানের প্রোজেক্টর মেশিন। দেওয়ার থেকে বসার জায়গার দূরত্ব কতটা তা বুঝেই টিভি কিনতে হবে। বড় মাপের পর্দা না হলে হোম থিয়েটারের মজা ঠিক আসবে না। টিভির পর্দা ৪৩ ইঞ্চির হলে ৪ থেকে ৬ ফুট দূরত্বে বসলে চোখ খারাপ হবে না। ৫০ থেকে ৬৫ ইঞ্চির পর্দা হলে কম করেও ৫ থেকে ৮ ফুট দূরত্বে বসতে হবে। সেই বুঝে টিভি কিনতে হবে।
টিভির বিপরীত দিকের দেওয়ালে কিংবা অন্য দেওয়ালে আলোর ব্যবহারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনও ভাবেই আলো টিভিতে প্রতিফলিত না হয়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি হোম থিয়েটারের ঘরে ফলস সিলিং থাকে। নানা রকম আলোর ব্যবহারে পরিবেশও অন্যরকম হবে।
টিভির পাশাপাশি ভাল মানের সারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেমও লাগাতে হবে। তার বক্সগুলো রাখতে হবে ঘরের পাঁচ ছ’জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে। ঘর ‘সাউন্ড প্রুফ’ করে নিতে হবে অবশ্যই। তার জন্য জানলা স্লাইডিং হলে ভাল হয়। সিলিকন দিয়ে ফাঁকফোঁকরগুলি বন্ধ করতে হবে। জানলায় ভারী পর্দা লাগাতে হবে। হোম থিয়েটারের ঘরে বেশি আসবাব রাখলে ভাল লাগবে না। টিভি, হোম প্রজেক্টর আর সোফা সেট রাখাই দস্তুর। অথবা ছোট খাট বা ডিভান রাখা যেতে পারে। বসার জায়গা যেন আরামদায়ক হয়। এ বার পছন্দের সিনেমা চালিয়ে হাতে পপকর্ন নিয়ে বসে পড়লেই হল।