—প্রতীকী ছবি।
বাজারে শাকসব্জির দাম ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সাশ্রয় করতে অনেকেই তাই বাড়িতে ছোটখাটো সব্জির বাগান তৈরির পরিকল্পনা করছেন। সেই পরিকল্পনা কিন্তু ফলপ্রসূ হতে পারে। কারণ, বর্ষা হল বাগান করার আদর্শ মরসুম। বৃষ্টির জল পেয়ে সতেজ এবং প্রাণবন্ত হয় গাছপালা। তাই নতুন করে বাগান করা কিংবা শখের বাগান আরও বড় করার জন্য বর্ষাকাল হল উপযুক্ত। কিন্তু সব শাকসব্জির জন্য বর্ষা উপযুক্ত নয়। কিছু সব্জি রয়েছে, যেগুলি বর্ষায় ভাল হয়। বাগান করার আগে সেগুলি জেনে নেওয়া জরুরি।
টোম্যাটো
বাজারে টোম্যাটোর দাম আকাশছোঁয়া। টোম্যাটো কিনতেই অনেক খরচ হচ্ছে। তার চেয়ে বর্ষায় বাড়িতেই ফলিয়ে নিতে পারেন টোম্যাটো। এমন জায়গায় টোম্যাটোর বীজ পুঁততে হবে, যেখানে অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা সূর্যের আলো আসে। মাটি ভিজে থাকলে চলবে না। টম্যাটোর গাছের গা ঘেঁষে অন্য কোনও গাছ লাগাবেন না। নিয়মিত সঠিক সার দিলে ১০-১৮ দিনে গাছে ছোট ছোট টোম্যাটো ধরতে শুরু করবে।
ছবি: সংগৃহীত।
লঙ্কা
টোম্যাটোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে লঙ্কারও। তাই টোম্যাটোর পাশাপাশি লঙ্কাও ফলাতে পারেন বাড়িতে। লঙ্কা ফলানো কঠিন নয়। লঙ্কা গাছের বীজ যদি ভাল হয়, তা হলে বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। লঙ্কা গাছের বেড়ে ওঠার জন্য খুব বেশি রোদের দরকার পড়ে না। দিনে ৩-৪ ঘণ্টা রোদ পেলেই যথেষ্ট। তবে বীজ থেকে গাছ বেরোলে নিয়ম করে জল দিতে হবে বেশি পরিমাণে। সেই সঙ্গে সার তো আছেই।
—প্রতীকী ছবি।
বেগুন
বৃষ্টির আবহাওয়ায় গরম খিচুড়ির সঙ্গে লম্বা লম্বা বেগুন ভাজা না হলে ঠিক জমে না। সাধ্যের মধ্যে হলেও বেগুনের দামও একেবারে কম নয়। বাজার থেকে না কিনে এই বর্ষায় বাড়ির বাগান থেকেই বেগুন তুলে ভাজতে পারেন। তবে বেগুন হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। খুব চড়া রোদে বেগুনের গাছ লাগাবেন না। বরং অল্প রোদ আসে এমন জায়গায়। বেগুন ভাল হয়। নিয়ম করে জল দিতে হবে। সেই সঙ্গে ভাল মানের সার। তবেই মাস দেড়েকের মধ্যে বেগুন আসবে গাছে।