— প্রতীকী চিত্র।
গরমকালে হঠাৎ যদি কড়াইশুঁটির কচুড়ি খেতে সাধ জাগে, কী করবেন? বাজারে এখন টাটকা কড়াইশুঁটি পাওয়া সম্ভব নয়। তাই দোকান থেকে ‘ফ্রোজ়েন’ বা হিমায়িত কড়াইশুঁটি কিনে আনাই এ ক্ষেত্রে সহজ উপায়। দোকানে প্রায় সারা বছরই এই ধরনের কড়াইশুঁটি পাওয়া যায়। কিন্তু ‘ফ্রোজ়েন’ খাবারের নাম শুনে অনেকেই হয়তো ভুরু কুঁচকোবেন। স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করবেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, টাটকার চেয়ে হিমায়িত মটরশুঁটির পুষ্টিগুণ না কি অনেকটাই বেশি।
আমেরিকার কৃষি দফতর (ইউএসডিএ) অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম টাটকা কড়াইশুঁটিতে প্রায় ভিটামিন সি-এর পরিমাণ প্রায় ৬৬ শতাংশ। আয়রনের পরিমাণ প্রায় ৮ শতাংশ, ১০ শতাংশ থাকে ভিটামিন বি৬ এবং প্রোটিন, ২০ শতাংশ থাকে সহজপাচ্য ফাইবার। কিন্তু এই কড়াইশুঁটি খেত থেকে তুলে বাজারে আসতে আসতে তার মধ্যে আর কোনও পুষ্টিগুণই অবশিষ্ট থাকে না। উল্টোদিকে হিমায়িত করার জন্য ঠিক যে সময়ে চাষের খেত থেকে এই সব্জি তুলে নেওয়া হয়, তখন তার মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিগুণ থেকেই যায়। শুধু তাই নয়, ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজে ভরপুর এই ধরনের কড়াইশুঁটি অনেক বেশি সহজপাচ্য। সুতরাং হজমের সমস্যা থাকলেও এই ধরনের কড়াইশুঁটি খাওয়াই যায়। এ ছাড়া বাজার থেকে কেনা কড়াইশুঁটি খুব বেশি হলে সপ্তাহখানেক রাখা যেতে পারে। কিন্তু হিমায়িত সব্জি চাইলে অনেক দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখাই যায়।
— প্রতীকী চিত্র।
তবে সব জিনিসেরই তো সুবিধা-অসুবিধা থাকে। হিমায়িত মটরশুঁটি খাওয়ার সমস্যাগুলি হল—
১) রাখার সমস্যা
সঠিক পদ্ধতিতে বা সঠিক তাপমাত্রায় না রাখলে এই ধরনের সব্জি নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি। তাই সংরক্ষণের উপায় ভাল করে যেতে নেওয়া প্রয়োজন।
২) প্রিজ়ারভেটিভ
দোকানে যে ধরনের হিমায়িত কড়াইশুঁটি পাওয়া যায়, তার বেশির ভাগই ‘প্রিজ়ারভেটিভ’ দেওয়া। এই রাসায়নিক আবার অত্যধিক মাত্রায় শরীরে গেলে জটিলতা বাড়তে পারে।
৩) পেটের সমস্যা
বরফের মতো শক্ত, জমাটবাধা কড়াইশুঁটি খেলে পেটের গোলমাল দেখা পারে। তাই রান্না করার আগে সেগুলিকে যথাযথ ভাবে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।