পানীয় তৈরি করা ছাড়া আরও অনেক কাজে লাগে চা পাতা। ছবি: সংগৃহীত।
দিনে অন্তত বার তিনেক চা বানানোই হয়। চা না খেলে সকালের শুরুটা যেমন ভাল হয় না, তেমনই সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতেও ভরসা সেই এক পেয়ালা চা। কিন্তু চা বানিয়ে ফেলার পর ব্যবহার করা চা পাতা নিয়ে কী করেন?
বেশির ভাগ মানুষই তা ফেলে দেন। কারণ, ফোটানো চা পাতার গুণ সম্পর্কে খুব একটা ধারণা অধিকাংশের নেই। কিন্তু চা পাতার এমন কিছু ব্যবহার রয়েছে, যা জানলে সত্যিই অবাক হবেন। চা পাতা ফেলে দেওয়ার কথা আর ভুলেও ভাববেন না।
পানীয় তৈরি করা ছাড়া চা পাতা আর কোন কোন কাজে লাগে?
১) সার হিসাবে:
চা পাতায় রয়েছে নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খনিজ। এগুলি গাছের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। চা পাতা পচে মাটির সঙ্গে মিশলে উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। তবে জেনে রাখা প্রয়োজন, ফোটানো চা পাতা গরম অবস্থায় মাটিতে দেওয়া যায় না। রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে সার হিসাবে মাটিতে দেওয়া যায়।
২) দুর্গন্ধ দূর করতে:
যে কোনও দুর্গন্ধ দূর করার ক্ষমতা রয়েছে চা পাতার। ঘরের এক কোণে বা জুতো রাখার আলমারিতে চা পাতা রাখাই যায়। ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংস থাকলেও অনেক সময়ে বিশ্রী গন্ধ বেরোয়। রাসায়নিক দেওয়া সুগন্ধি না রেখে সেখানে টি ব্যাগ রাখা যেতে পারে।
৩) স্ক্রাব হিসাবে:
ফোটানো চা পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখলে তা এক্সফোলিয়েটর হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। সঙ্গে টক দই, মধু আর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিলেই তা গায়ে মাখার জন্য প্রস্তুত। ত্বকে জমা মৃত কোষ, ধুলো-ময়লার পরত সরিয়ে ফেলতে ঘরোয়া এই টোটকা দারুণ কাজের।
৪) মশা, মাছি তাড়াতে:
চা পাতায় রয়েছে ট্যানিন। এই উপাদানটি মশা, মাছি, পিঁপড়ের মতো কীটপতঙ্গ দূরে রাখে। জানলা, দরজা কিংবা হেঁশেলের তাকে চা পাতা ছড়িয়ে রাখলে সহজে পোকামাকড় আসতে পারবে না।
৫) চুলের যত্নে:
শ্যাম্পু করার পর ঠিক মতো কন্ডিশনিং না করলে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে ওঠে। দোকান থেকে কেনা কন্ডিশনার না মেখে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার দিয়েও চুলের যত্ন নিতে পারেন। এই রকমই একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হল চা পাতা। ফোটানো চায়ের পাতা সিদ্ধ করে নিন। শ্যাম্পু করার পর সেই জল দিয়ে ধুয়ে নিলে চুল মোলায়েম হয়ে উঠবে।