ফলের পোকা থেকে ছড়ায় একাধিক রোগ ছবি: সংগৃহীত
গরম মানেই আম, তরমুজ, কাঁঠাল, লিচু এবং আরও নানা ফল। কিন্তু এই ফল খাওয়ার পর খোসা যেখানেই ফেলুন না কেন, ঘরে ফলের ছোট ছোট পোকার উপদ্রব শুরু হয়। আর এই পোকা-মাছি তাড়ানো কিন্তু মোটেও সহজ নয়। এই পোকার মাধ্যমে ছড়াতে পারে একাধিক গুরুতর রোগ। রইল এমন কিছু কৌশল যেগুলি মেনে চললে রেহাই মিলতে পারে পোকা-মাছির অত্যাচার থেকে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। আপেল সিডার ভিনিগার
একটি গ্লাস কিংবা শিশিতে অল্প পরিমাণে আপেল সিডার ভিনিগার নিন। শিশি কিংবা গ্লাসটির মুখ একটি প্লাস্টিকের টুকরো দিয়ে ঢেকে দিন। রবার ব্যান্ড ব্যবহার করে ভাল করে আটকে দিন মুখের চারপাশ। এ বার একটি টুথ পিক দিয়ে প্লাস্টিকের মধ্যে কয়েকটি ফুটো করে দিন। ভিনিগারের গন্ধে পোকা-মাছি ভিতরে প্রবেশ করবে, কিন্তু বেরোতে পারবে না।
২। ভিনিগার, বাসন মাজার সোপ ও গরম জল
একটি গ্লাসের এক তৃতীয়াংশ ভরে নিন আপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে। এর পর এক চামচ বাসন মাজার তরল সাবান ও গরম জল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণের উপর কিছুটা ফেনা তৈরি হলে গ্লাসটি মাছির কাছাকাছি রেখে দিন। ভিনিগারের গন্ধে পোকা-মাছি আসবে। কিন্তু সাবান জলে ডুবে যাবে।
৩। পচা ফল
যে ভাবে আপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে ফাঁদ তৈরি করা হয়েছিল, ঠিক একই ভাবে তৈরি হবে এই ফাঁদ। ভিনিগারের বদলে পাত্রের তলায় রেখে দিতে পারেন পচা ফল। এতেও একই ভাবে আকৃষ্ট হবে সর রকম পোকা-মাছি।
৪। মদের বোতল
বিয়ারের বোতল ফেলে না দিয়ে অল্প একটু বিয়ারসহ রেখে দিতে পারেন ঘরের কোণে। সাধারণত তলায় জমে থাকা অবশিষ্ট বিয়ারের প্রভাবে একবার ঢুকলেও আর বাইরে বেরোতে পারে না পোকা বা মাছি। চাইলে বোতলের মুখে একই কায়দায় প্লাস্টিকের ঢাকাও পরাতে পারেন।