ছবি: সংগৃহীত।
গরমে সুস্থ থাকতে শুধু জল নয়, খেতে হবে ফলও। গ্রীষ্মকাল হল রকমারি ফলের মরসুম। আম থেকে আনারস— বাজারে গেলেই ফলের গন্ধ ম ম করে। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকর, সকলেই এই গরমে বেশি করে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই অনেকেই বা়ড়িতে বিভিন্ন ধরনের ফল মজুত রাখছেন। এই রোদে বার বার যাতে ফল কিনতে যেতে না হয়, তার জন্য বেশি করে ফল কিনে ফ্রিজে রাখছেন। ফ্রিজে রাখলে বেশি দিন ভাল থাকে। কিন্ত কিছু ফল ফ্রিজে রাখা একেবারেই উচিত হবে না।
কলা
কলা ফ্রিজে না রাখাই শ্রেয়। অতিরিক্ত ঠান্ডায় কলা পচে যেতে পারে। অনেক সময় কিনে আনার দু’দিনের মাথায় কলা বাইরে থেকে কালো হয়ে গিয়েছে। ফ্রিজে রাখলে অনেক সময় এমন হয়। কলা সব সময় ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখলেই ভাল।
তরমুজ
গরমে ঠান্ডা তরমুজ স্বস্তি দেয়। ঠান্ডা তরমুজ খেতেও ভাললাগে। তাই তরমুজ কিনে অনেকে ফ্রিজেই রাখেন। কিন্তু তাতে তরমুজের স্বাদ এবং স্বাস্থ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তরমুজে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। ফ্রিজে রাখলে তরমুজের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
আম
সারা বছর আমের জন্য অপেক্ষা করে বাঙালি। গরম পড়তেই অপেক্ষার অবসান হয়। সকাল-বিকাল আমের স্বাদেই মজে থাকেন সকলে। তবে ফ্রিজে রাখার অভ্যাস ভাল নয়। তাতে আবার আম পচে যেতে পারে। আমের বাইরের অংশটিও কালো হয়ে যায় অনেক সময়।
আনারস
আনারসের টক-মিষ্টি স্বাদ গরমের অস্বস্তি ভুলিয়ে দেয়। ঠান্ডা আনারসও মন্দ লাগে না। তবে ফ্রিজে রাখলে আনারসের স্বাদ চলে যায়। তাড়াতাড়ি পেকেও যায়। পছন্দের ফলের এমন পরিণতি হোক, তা না চাইলে ফ্রিজে আনারস রাখবেন না।
পেঁপে
শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল। পেট ঠান্ডা রাখতে পেঁপে খাওয়া জরুরি। কিন্তু ফ্রিজে রেখে পেঁপে না খাওয়াই শ্রেয়। পাকা পেঁপে সব সময় ঘরের তাপমাত্রায় রাখলেই ভাল। ফ্রিজে রাখলে পেঁপে বেশি নরম হয়ে যায়। স্বাদও বদলে যেতে পারে।