ঘরদোর পরিষ্কারে যত বিরক্তি! কী ভাবে কাজ করলে বাড়তি চাপ হবে না? ছবি: সংগৃহীত।
কারও কারও অভ্যাস থাকে দিনরাত ঘর পরিষ্কার করার। আবার কারও কারও ঘরদোর পরিষ্কার করতে বললেই বিরক্তি। কারও আবার দিনরাত পরিশ্রমের পর ঘর, আসবাবপত্র পরিষ্কারের নামে আলসেমি চেপে বসে।
ইচ্ছে হোক বা না হোক, বাড়িঘর পরিষ্কার করতেই হয়। কী ভাবে কাজ করলে ঝক্কি কম হবে?
১. এক দিনে পুরো ঘর, জিনিসপত্র, আলমারি পরিষ্কার করতে গেলে সময় বেশি লাগবে, ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। তার চেয়ে বরং প্রতি দিন দৈনন্দিন কাজের মধ্যে মিনিট ১৫ পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্যয় করতে পারেন। এক দিন পড়ার টেবিল পরিষ্কার করলে, এক দিন ড্রেসিং টেবিল। এ ভাবে কাজ ভাগ করে নিলে এক দিনে বেশি চাপ পড়বে না।
২. যন্ত্রের ব্যবহার। সংসার-কাজ সামলে ঘর পরিষ্কারের সময় থাকে না অনেকেরই। সে ক্ষেত্রে ঝক্কি কমাতে যন্ত্রের ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ঘরদোর পরিষ্কারের জন্য রোবোটিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার পাওয়া যায়। যা নির্দেশ মতো ঘুরে ঘুরে কাজ করে। এই ধরনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রের ব্যবহার কাজ কমিয়ে দিতে পারে।
৩. একার ঘাড়ে দায়িত্ব না নিয়ে ঘর পরিষ্কারের কাজ বাড়ির সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দিতে পারেন। যে সময়ে ঘর পরিষ্কার করা হবে, তা নিয়ে আগাম রুটিন করা থাকলেও সুবিধা হবে। কোন দিনটা কার জন্য বরাদ্দ, তা ঠিক করা থাকলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
৪. ঘরের যেখানে-সেখানে জিনিসপত্র ছড়ানো থাকলে দেখতে ভাল লাগে না। তা ছাড়া খোলা জায়গায় জিনিস রাখলে তাতে ধুলোও বেশি হয়। ঘরে একাধিক দেরাজ রাখতে পারেন। জামাকাপড় থেকে জিনিসপত্র যার মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা যায়। আবার যে সময় পাখা বা এসি দরকার হচ্ছে না, সেগুলি ঢেকে রাখতে পারেন।
৫. একটানা ঘর পরিষ্কার না করে, প্রতি দিন একটু একটু করে কাজের পর বিশ্রাম নিয়ে নিন। ভাল করে স্নান করলে বা আরাম করে বসে এক কাপ চা-কফি খেলে কাজ নিয়ে বিরক্তি কেটে যেতে পারে।