পুরোনো বাসনের কালচে দাগ কিছুতেই উঠতে চায় না। ছবি: শাটারস্টক।
রোজকার পুজো করার সময় স্টিলের ছোট ছোট থালা বাসনেই কাজ হয়ে যায়। কিন্তু বাড়িতে বিশেষ কোনও পুজো থাকলে সযত্নে তুলে রাখা কাঁসা, রুপো ও পিতলের বাসনপত্র তো বার না করলেই নয়। অনেকের বাড়ির পুজোর বাসন বা সামগ্রী বেশ পুরনো হয়। তার কালচে দাগ কিছুতেই উঠতে চায় না। অথচ পুজোর বাসনগুলি ঝকঝকে না হলে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। জেনে নিন, পুজোর বাসন কী ভাবে পরিষ্কার করতে পারেন।
রুপোর বাসন: রুপোর বাসনের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে? ছাই দিয়েই রুপোর বাসন ঝকঝকে হয়ে যেতে পারে। ছাই দিয়ে ভাল করে রুপোর জিনিস ঘষে নিন। এ ক্ষেত্রে কোনও স্ক্রাবার ব্যবহার করবেন না। হয়ে গেলে একটি শুকনো সুতির কাপড় দিয়ে মুছে নিন। আর ছাই যদি না থাকে, তা হলে বাড়িতে থাকা টুথপেস্ট দিয়েও রুপোর বাসন পরিষ্কার করা যায়।
পিতলের বাসন: পুজোর পঞ্চপ্রদীপ ইত্যাদি সাধারণত পিতলের হয়। অনেকের বাড়িতে পিতলের দেবমূর্তিও থাকে। এই সব পিতলের জিনিস পরিষ্কার করার জন্য এক বালতি গরম জলে হালকা গুঁড়ো সাবান দিয়ে জিনিসগুলি মিনিট দশেক ভিজিয়ে রাখুন। এ বার জলে ভিজিয়ে রাখা তেঁতুল দিয়ে পিতলের জিনিসগুলি ভাল করে ঘষুন। হয়ে গেলে গরম জলে ধুয়ে নিন। শেষে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই দেখবেন, সব জিনিস চকচক করছে।
কাঁসা এবং তামার বাসনপত্র পরিষ্কার করতে লেবুুর ব্যবহার করতে পারেন। ছবি: শাটারস্টক।
কাঁসার বাসন: বাড়িতে পাতিলেবু আর নুন নিশ্চয়ই রয়েছে? তা হলে কাঁসা এবং তামার বাসনপত্র পরিষ্কার করতে কাজে লাগাতে পারেন। অর্ধেক পাতিলেবুতে ভাল করে নুন মাখিয়ে বাসনে ঘষে নিন। ২০ মিনিট ও ভাবেই রেখে দিন। তার পর বাসনগুলি ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এতেই চকচকে হয়ে যাবে পুজোর বাসন।
তামার বাসন: তামার বাসন পরিষ্কার করতে তেঁতুলের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু দিন আগে থেকে। এক কাপ জলের মধ্যে তেঁতুল ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট। এর পর হাত দিয়ে পাত্রের গায়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ রাখুন। তার পর শক্ত কোনও জিনিস দিয়ে পরিষ্কার করে নিলেই চকচকে হয়ে উঠবে আপনার সাধের তামার বাসন। তামার বাসন পরিষ্কার করতে লবণ ও বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন।