ছবি : সংগৃহীত।
ফ্রিজে খাবার রাখা সত্ত্বেও অনেক সময় দেখা যায় খাবারে বা শাক-সব্জি, ফলমূলে বেশিদিন তাজা ভাব থাকছে না। হয়তো দেখা গেল রান্না করা খাবারও তিন-চার দিন রাখার পরে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সেটি কিন্তু ফ্রিজের সমস্যা না-ও হতে পারে। ফ্রিজ ব্যবহার করার কিছু ভুলের জন্যও অনেক সময় খাবারে তাজা ভাব বজায় থাকে না বলে জানাচ্ছেন রন্ধনশিল্পী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, ফ্রিজের এক এক জায়গায় তাপমাত্রা থাকে এক এক রকম। এমনকি ফ্রিজের দুটি কাছাকাছি থাকা তাকের মধ্যেও তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার তারতম্য থাকে। বিষয়টি বুঝে খাবার সংরক্ষণ করলে খাবার দীর্ঘদিন ভাল থাকবে।
ফ্রিজের কোন তাকে কী রাখবেন?
উপরের তাক: ফ্রিজের সবথেকে উপরের তাকের তাপমাত্রা থাকে মাঝারি। আগে থেকে তৈরি করে রাখা খাবার যা গরম করে কিংবা ভেজে খাওয়া যাবে অথবা আগের দিনের বেঁচে যাওয়া খাবার ওই তাকে রাখতে পারেন। তবে সবসময় বায়ুনিরোধী পাত্রে রাখুন। যাতে অন্যত্র খাবারের গন্ধ না ছড়ায়। এ ছাড়া দই, মাখন, চিজ় রাখার জন্যও উপযুক্ত।
—ফাইল চিত্র।
মাঝের তাক: ফ্রিজের মাঝের তাকটি তুলনামূলক বেশি ঠান্ডা। তবে অত্যন্ত বেশি ঠান্ডা নয়। এখানে রাখা যেতে পারে ডিম, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার, পুদিনা, কারিপাতা, ধনেপাতা জাতীয় রান্নায় গন্ধ আনতে সাহায্য করে এমন ভেষজ বা পাতা রাখা যেতে পারে। তবে ওই ধরনের পাতা রাখতে হবে কাগজের ন্যাপকিনে মুড়ে।
নীচের তাক: ডিপফ্রিজ বাদে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা থাকে ফ্রিজের নীচের তাকে। কাঁচা মাংস, মাছ বা রান্না করা মাছ-মাংসও ওখানে রাখা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে সব খাবারেরই মুখ ভাল ভাবে ঢাকা থাকে।
ফ্রিজের দরজায় থাকা তাক: ফ্রিজে তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে দরজার তাকে। যতবার দরজা খোলা হয়, ততবারই তাপমাত্রা দ্রুত অনেক খানি বদলে যায়। তাই ফ্রিজের দরজার তাকে রাখুন সস, চাটনি, আচার জাতীয় খাবার।
ড্রয়ার: সাধারণত ফ্রিজের সবচেয়ে নিচের অংশেই থাকে ফাইবারের ড্রয়ার। ওই ড্রয়ার ফলমূল শাকসব্জি রাখার জন্য উপযুক্ত।