ছবি: সংগৃহীত।
কালাকাঁদ খেতে কে না ভালবাসেন! মিষ্টিপ্রেমীরা তো বটেই, যাঁরা মিষ্টি ভালবাসেন না, তাঁদেরও অনেকে নরম ক্ষীরের ওই মিষ্টি দেখে মুখ ফেরাতে পারেন না। প্রিয় ওই মিষ্টি কিন্তু স্বাস্থ্যকরও হতে পারে!
রোজ একটি আপেল খেলে রোগব্যাধি দূরে থাকে বলে মনে করা হয়। সেই আপেল দিয়েও বানিয়ে নেওয়া যায় কালাকাঁদ। ফলের গুণ তো থাকবেই, তার সঙ্গে ছানা, দুধ, গুড় মিশিয়ে ওই মিষ্টিকে স্বাদের সঙ্গে আপস না করেই সুস্বাদু বানিয়ে নেওয়া যায়।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
১.৫ কাপ কোরানো আপেল
২ টেবিল চামচ ঘি
২ টেবিল চামচ সুজি
১ কাপ কুরিয়ে নেওয়া পনির
১/৪ কাপ গুঁড়ো দুধ
১/৪ কাপ নারকেল কোরানো
১/২ কাপ কনডেন্সড মিল্ক অথবা ১ কাপ ক্রিম যুক্ত দুধ এবং ৪-৫ টেবিল চামচ গুড় (স্বাদ অনুযায়ী বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারেন। )
১/২ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ ড্রাই ফ্রুটস কুচি
প্রণালী:
কড়াইয়ে ঘি দিয়ে তাতে সুজি দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাল করে ভেজে (সুজির রং লালচে হবে না) তাতে কোরানো আপেল দিয়ে দিন।
আপেল কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করার পরে তাতে একে একে কুরিয়ে নেওয়া পনির, গুঁড়ো দুধ, নারকেল কোরা দিয়ে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। আঁচ মাঝারিই থাকবে।
এ বার ওই মিশ্রণে কনডেন্সড মিল্ক দিন। কনডেন্সড মিল্ক দিতে না চাইলে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে বেছে নিতে পারেন দুধ আর গুড়।
সে ক্ষেত্রে ১ কাপ দুধকে আগে থেকে ঘন করে নিতে হবে। দুধ ঘন হতে শুরু করলে তাতে গুড় মিশিয়ে নিন। ১ কাপ দুধ জ্বাল দিয়ে আধ কাপের সমান পরিমাণ হলে নামিয়ে নিন। কনডেন্সড মিল্কের বদলে ওই দুধ আধ কাপ যোগ করুন মিশ্রণে।
দুধ ওই মিশ্রণে ভাল করে মিশিয়ে নেওয়ার পরে দারচিনির গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে কড়াই থেকে মিশ্রণ ছেড়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে।
চৌকো কোনও পাত্রের ভিতরে ঘি মাখিয়ে তাতে মিশ্রণটি ঢেলে উপরের অংশটি সমান করে নিয়ে তার উপরে কাজু, পেস্তা বা কাঠবাদাম কুচি ছড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন এক ঘণ্টা।
ফ্রিজ থেকে বার করে ছুরি দিয়ে সমান ভাবে কেটে পরিবেশন করুন।