দীপাবলিতে বসার ঘরের সাজে থাকুক উৎসবের ছোঁয়া। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজো হোক কিংবা দীপাবলি, বাঙালির উদ্যাপনে কোনও কমতি নেই। ভূরিভোজ, সাজগোজ, মিষ্টিমুখ লেগেই থাকে। তবে উৎসব-অনুষ্ঠানে বাঙালি বাড়িতে অতিথির আনাগোনা স্বাভাবিক। কালীপুজোর দিনেও অনেকের বাড়িতেই বন্ধুদের আড্ডা বসে। বন্ধু হলেও আপ্যায়নের তো খামতি রাখা চলে না। খাওয়াদাওয়া ছাড়াও বাড়িতে এসে যাতে অতিথিরা হাত-পা ছড়িয়ে বসতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করা জরুরি। বসার ঘরটি কী ভাবে সাজালে অতিথিদের পছন্দ হবে, আবার তাঁদের কোনও অসুবিধা হবে না?
অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরান
অপ্রয়োজনীয় ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, আসবাব ইত্যাদি ঘরে থাকলে জায়গার অপচয় হয়। জায়গা বড় করতে সেগুলি আগে সরিয়ে ফেলুন। পরিবর্তে ব্যবহার করে দেখতে পারেন হাল্কা রঙের চাদর, কুশন কভার। দেওয়ালে টাঙাতে পারেন জলরঙে আঁকা কোনও ছবি। শৌখিন ওয়াল হ্যাঙ্গিং থাকলেও মন্দ হবে না।
নতুন কায়দায় বসার ব্যবস্থা
অতিথিদের বসার জন্য শুধু একগাদা চেয়ার না রেখে, মেঝেতে ম্যাট্রেস পেতে দিন। তার উপরে রঙিন চাদর বিছিয়ে নানা আকারের কুশন দিয়ে সাজান। অনেক জায়গাও বাঁচবে, আবার বসার ঘর দেখতেও খানিকটা বড় এবং সুন্দর মনে হবে।
ঘরের সাজে সবুজের ছোঁয়া
নানার কম ছবি, শো পিস দিয়ে ঘর সাজানোর পরিবর্তে কিছু ছোট বনসাই জাতীয় গাছ রাখুন। সবুজের সাজে ঘরের পরিবেশ মনোরম দেখাবে। জায়গাও ছড়ানো মনে হবে। আলোর উৎসব আরও বেশি রঙিন হয়ে উঠবে সবুজের ছোঁয়া পেলে।
নানা ধরনের পর্দার ব্যবহার
নতুন পর্দা টাঙাতে পারেন জানলায়। পাতলা সাদা কাপড়ের পর্দায় ঘরের ছাদ উঁচু মনে হয়। আলো-হাওয়া বেশি আসায় ঘরও ভিতর থেকে দেখতে অনেক বড় লাগে। তবে উৎসবের সময় ঘরের সাজে একটু রঙের ছোঁয়া না থাকলে চলে না। তাই রঙিন পর্দাও টাঙাতে পারেন।