ঘরে কোন জায়গাটা সবচেয়ে নোংরা বলতে পারবেন? ছবি: সংগৃহীত
ফের উদ্বেগজনক ভাবে বা়ড়ছে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। রাজ্যজুড়ে, বিশেষ করে কলকাতায় করোনা পরিস্থিতি ফের আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। অধিকাংশ সংস্থা কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। সকলের বা়ড়ি থেকে বেরোনোর প্রবণতাই কমেছে।
ফের প্রত্যেক বাড়িতে স্যানিটাইজ করার নানা রকম সরঞ্জাম কেনা বে়ড়ে গিয়েছে। বাইরে থেকে কোনও জিনিস ঘরে আনলে ফের আগের মতোই স্যানিটাইজ করা শুরু হয়েছে। বারবার সাবান জলে হাত ধোয়া হচ্ছে। বাজারের শাক-সব্জি-ফল এনেও অনেকে খাবার জীবাণুমুক্ত করার তরল মেশানো জল দিয়ে ধুয়ে রাখছেন। কিন্তু ঘরের ভিতরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলি হয়তো কেউ-ই খেয়াল করছেন না। অথচ, সেখানেই লুকিয়ে থাকছে যাবতীয় জীবাণু। চিনে নিন সেই জায়গাগুলি।
ফোন
সবচেয়ে নোংরা জমে আপনার ফোনে। বাইরে থেকে ফিরে ইদানীং আমরা সকলেই ফোন স্যানিটাইজ করছি। কিন্তু বাড়িতে থাকলেও আপনার ফোনে বেশ নোংরা জমে। নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন। নয়তো মুখের ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
রিমোট, ল্যাপটপ
বারবার নানা লোকের হাত যাচ্ছে টিভি বা এসির রিমোটে। ল্যাপটপের কি-বোর্ডেও জমছে ধুলো। এ ভাবেই একজনের থেকে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায় বাকিদের মধ্যে। এগুলি নিয়মিত সঠিক পদ্ধতিতে পরিষ্কার করা খুব প্রয়োজন।
দরজা বা ক্যাবিনেটের হাতল
যদি সবচেয়ে বেশি রোগ ছড়ায় মানুষের হাত থেকে, তা হলে যে জায়গাগুলি আপনি ধরছেন, সেগুলি সবচেয়ে বেশি নোংরা তো হবেই। নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
রান্নাঘরের সিঙ্ক
ফলমূল, শাক-সব্জি কিনে বাড়ি ফিরে প্রথমেই সিঙ্কে ধুয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু তার পর সিঙ্কটা পরিষ্কার করছেন কি? মাথায় রাখবেন, সেটাও সঙ্গে সঙ্গে স্যানিটাইজ করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ সব নোংরা গিয়ে জমছে আপনার সিঙ্কের গায়েই।
টয়লেট
বাড়ির সবচেয়ে নোংরা ঘর এটি। বাইরে থেকে এসে হাত ধুচ্ছেন বেসিনে। বেসিনটাও ধোয়া প্রয়োজন। কমোড পরিষ্কার করছেন? ফ্লাশটাও স্যানিটাইজ করতে ভুলবেন না। বেসিনের আয়না অনেক সময় আমরা উপেক্ষা করে যাই। অতিমারিতে সেটা উচিত নয়। হাত ধোয়ার সময়ে জল ছিটকে পড়ছে আয়নাতেই। তাই সেটাও পরিষ্কার করা প্রয়োজন।