অনলাইনে কেনাকাটা করতে হলে কী কী সতর্কতা নিতে হবে? প্রতীকী ছবি।
রোজকার ব্যস্ত জীবনযাপনে দু’দণ্ড সময়ই যেন নেই! সেখানে কেনাকাটার সময় কোথায়? সকালে অফিস। বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। ফুরসত নেই হাতে সময় নিয়ে দশটা দোকান ঘুরে কেনাকাটা করার। কাজেই অনলাইনেই শপিং সারছেন বেশির ভাগই। মাউসের একটি ক্লিকেই ঘরের দরজায় এসে যাচ্ছে যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। জামাকাপড় পছন্দ না হলে আবার ফেরতও পাঠানো যাচ্ছে। পুজো হোক বা যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠান, অনলাইনে কেনাকাটার এখন বিশাল কদর। কম পরিশ্রমে চটজলদি পছন্দের জিনিস হাতে পেয়ে যাওয়ার নেশা থেকেই অনলাইন শপিংয়ের হাতছানিও বেড়ে চলেছে।
অনলাইন কেনাকাটায় কার্ড ব্যবহার করে বা ইউপিআই-তে টাকাপয়সার লেনদেন করা যায়। তা ছাড়া ওয়ালেটও আছে। প্রতি ক্ষেত্রেই কিন্তু সতর্ক থাকা জরুরি। না হলেই প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে যেতে পারেন।
কী কী সতর্কতা নিতে হবে?
১) অনেক ওয়েবসাইটই ভুয়ো। তাই কেনাকাটার আগে ভাল করে সেই ওয়েবসাইটটিকে যাচাই করে নিতে হবে। প্রতিটি ওয়েবসাইটেই থাকবে যোগাযোগের ফোন নম্বর এবং ঠিকানা। যদি তা না থাকে তবে ওয়েবসাইটের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
২) অনলাইনে কার্ড ব্যবহারের সময় প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কমাতে ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
৩)সব সময়ে নিজের ফোনের ডেটা ব্যবহার করেই অনলাইনে টাকাপয়সার লেনদেন করা উচিত। অপরিচিত কারও মোবাইল থেকে হটস্পটের মাধ্যমে নেট নিয়ে অনলাইনে নিজের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড অথবা ইউপিআই ব্যবহার করার ভুল করবেন না।
৪)অনলাইনে ওয়ালেট, ব্যাঙ্কিং অ্যাপ ব্যবহার করার আগে ‘টু পয়েন্ট অথেন্টিকেশন’ চালু করে রাখুন। পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি ওটিপি বা বায়োমেট্রিক সিস্টেমও রাখুন। এতে কারচুপির আশঙ্কা কমবে।
৫) রাস্তাঘাটে, নামী রেস্তরাঁ বা কোনও হোটেলে গিয়ে সেখানকার ওয়াইফাই ব্যবহার করে ভুলেও নিজের ব্যাঙ্কিং অ্যাপে ঢুকবেন না। এতেও চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য।