ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সময়ে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। প্রতীকী ছবি।
মধ্যবিত্তের কাছে তাই ক্রেডিট কার্ড অনেক সমস্যার সমাধান। সারা বছরের সঞ্চয়ে হাত না দিয়ে ক্রেডিট কার্ডে কিনে একটু একটু করে মাসে মাসে শোধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন অনেকেই। আর এখন টাকাপয়সা লেনদেনের ক্ষেত্রে নগদের ব্যবহার অনেকটাই কমে গিয়েছে। বদলে বেড়েছে কার্ডের ব্যবহার। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সময়ও যে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, তা জানেন কি? সামান্য ভুলেই কিন্তু বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। জেনে নিন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সময়ে কী কী নিয়ম মেনে চলা উচিত।
১) ক্রেডিট কার্ডের পিন, সিভিভি, কার্ডের নম্বর গোপন রাখুন। কারও সঙ্গে তা ভুলেও শেয়ার করবেন না। ব্যাঙ্কের নাম করে বা অজানা কোনও নম্বর থেকে ফোন করে কার্ড সম্পর্কে কোনও তথ্য চাইলে তা দেবেন না। দরকারে সেই নম্বর জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ করুন।
২) ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা করার সময়ে সহজলভ্য কোনও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবেন না। বাইরে কোথাও ওয়াইফাই জ়োনে কার্ড ব্যবহার করলেই বিপদে পড়তে পারেন।
৩) অনেকেই ক্রেডিট কার্ডে বাকি থাকা বিল সময় মতো মিটিয়ে দেন না। মাসের পর মাস ফেলে রাখেন, ফলে অজান্তে কাঁধের উপরে বাড়তি ঋণের বোঝা চাপতে থাকে। মনে রাখবেন, প্রত্যেক ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্ট প্রদেয় তারিখ থাকে। তা অতিক্রম করে গেলেই অতিরিক্ত হারে জরিমানা করা হয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিন।
৪) যে সংস্থার কার্ড নিচ্ছেন সেখানে সুরক্ষা ব্যবস্থা কেমন তা জেনে নিন। কয়েকটি ব্যাঙ্ক তাদের ক্রেডিট কার্ডকে বাড়তি সুরক্ষা দেয়। তাই কার্ড নেওয়ার আগে ভাল করে খুঁটিনাটি জেনে নেবেন।
৫) প্রত্যেক ক্রেডিট কার্ড সংস্থাই অটো ডেবিটের বিকল্প দেয়। অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট দিনে ব্যাঙ্ক নিজে থেকেই ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া টাকা শোধ করে দেয়। এতে দু’টি সুবিধা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই ক্রেডিট কার্ডের বিল মেটাতে ভুলে যান অনেকেই। অটো ডেবিট হয়ে গেলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬) সাইবার কাফেতে গিয়ে কখনওই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন না। অন্য কারও ডিভাইস থেকেও নয়। শুধুমাত্র নিজের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা ট্যাব থেকেই ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করবেন।
৭) ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের আগে নিজের সীমা বুঝে নিন। কত টাকা ধার নিচ্ছেন, কত দিনে তা শোধ করতে পারবেন তা দেখে নিন। যদি বেশি অঙ্কের টাকা হয়, তা হলে ঋণের বোঝা কমাতে তাকে ইএমআই-তে ভেঙে নিন। প্রত্যেক ক্রেডিট কার্ড সংস্থাই নির্দিষ্ট একটি অঙ্কের বিনিময়ে ৩ মাস, ৬ মাস বা ১ বছরের ইএমআই নিতে দেয়। বাড়তি সুদ যদি না গুনতে চান, তা হলে এই পদ্ধতিও অবলম্বন করে দেখতে পারেন।