ল্যাপটপ, হট প্যাড থেকে ত্বকের কী ক্ষতি হতে পারে? ছবি: ফ্রিপিক।
পায়ের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করার অভ্যাস অনেকেরই আছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সে ভাবেই থাকেন। দেখবেন, ল্যাপটপ গরম হয়ে গিয়ে ত্বকের উপরের অংশ লাল হয়ে যায় অনেক সময়েই। কিছু সময় পরে তা ঠিকও হয়ে যায়। কিন্তু দিনের পর দিন ল্যাপটপ বা যে কোনও বৈদ্যুতিন ডিভাইস থেকে বেরোনো তাপ যদি ত্বকের সংস্পর্শে আসে, তা হলে কিন্তু চর্মরোগ হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। কেবল ল্যাপটপ নয়, অনেকেই পিঠ-কোমরের ব্যথা কমাতে দীর্ঘ সময়ে ‘হট প্যাড’ রেখে দেখেন শরীরের উপর। আরাম হবে ভেবে তার তাপমাত্রাও বাড়িয়ে রাখেন। এই সব থেকেই ত্বকের একটি মারাত্মক অসুখ হতে পারে।
‘টোস্টেট স্কিন সিনড্রোম’-এর নাম শুনেছেন? দীর্ঘ সময় ধরে ত্বকে প্রচণ্ড তাপ ঢুকলে তার থেকে ত্বকের মেলানিন রঞ্জক নষ্ট হতে শুরু করে। সেই জায়গার রক্তজালক সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ত্বক পুড়ে গিয়ে কালচে হয়ে যায়। অনেক সময়ে গুটি গুটি ফুস্কুড়ি বা র্যাশও বের হয়। ওষুধেও সারতে চায় না। ত্বকের এই সমস্যাকেই বলা হয় ‘টোস্টেট স্কিন সিনড্রোম’।
ত্বকের এই সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বিশেষ করে ছোটরাও পায়ের উপর ল্যাপটপ নিয়ে বসে ভিডিয়ো গেম খেলে। এর থেকে ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে অনেকের। ছোটদের ত্বক এমনিতেই স্পর্শকাতর হয়। তার উপরে অত্যধিক তাপ বেশি সময় ধরে শরীরে ঢুকলে, তার থেকে চর্মরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। শুরুতে ত্বকের উপর লালচে ছোপ পড়ে। পরে সেই জায়গাই কালচে হতে শুরু করে। ওই অংশের ত্বক প্রচণ্ড শুষ্ক হয়ে যায়, অনেকের আবার আঁশের মতো ছালও উঠতে থাকে। ‘টোস্টেট স্কিন সিনড্রোম’ থেকে কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিসের লক্ষণও দেখা দেয়।
ত্বকের এই সমস্যা থেকে বাঁচতে একটানা বৈদ্যুতিন যন্ত্র শরীরের সংস্পর্শে রাখতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। ল্যাপটপ যদি পায়ের উপর নিয়ে কাজ করতেই হয়, তা হলে টানা ৩০ মিনিটের বেশি করবেন না। হট প্যাড ব্যবহার করলে, তার তাপমাত্রা কমিয়ে রাখুন। আর একটানা ১০ মিনিটের বেশি শরীরের উপর রাখবেন না। যদি ‘টোস্টেট স্কিন সিনড্রোম’ দেখা দেয়, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। অনেক সময়ে এই অসুখ ত্বকের ক্যানসারের কারণও হয়ে ওঠে।