প্রতীকী ছবি।
সকালে কথা হল কর্তার সঙ্গে, আর বিকেলে ভুল গেলেন, কোন ব্যাঙ্কের চেকবইয়ে সই করে রাখতে হবে। কিংবা হয়তো বস্ এবেলা বলল কিছু কাজ করে রাখতে, ওবেলা পড়তে না পড়তে আপনি তা বেমালুম ভুল গেলেন? দ্রুত গতির জীবনে অনেক সময়ে আমাদের মাথা ঠিক কাজ করে না, স্মৃতিও ফাঁকি দেয়। তখন স্মার্টফোনের অ্যালার্ম, রিমাইন্ডারের মতো নানা ফিকির বেছে নিতে হয়, সব কিছু মনে রাখার জন্য। আবার অনেকে পুরনো মতে খাতায়-কলমে কী কী কাজ করতে হবে সারা দিনে, সেই তালিকাও তৈরি করে রাখেন। সেগুলি কোনওটাই দোষের নয়। কিন্তু পুরোপুরি যন্ত্রনির্ভর না হয়ে পড়ে বরং মস্তিষ্কের যত্ন নিন।
রোজকার খাবারে যদি এমন কিছু পুষ্টিগুণ রাখতে পারেন, যাতে মস্তিষ্ক থাকবে সচল, তা হলে কিছুটা হলেও আপনার স্মৃতিশক্তি ভাল হতে পারে। কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত করতে হলে নিয়মিত খেতে হবে এই পাঁচটি খাবার—
১। ব্লুবেরি
রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে ব্লুবেরির মতো আর ফল হয় না। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। খিদে পেলে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার বদলে যদি কিছু স্বাস্থ্যকর বেছে নিতে চান, তা হলে অবশ্যই ব্লুবেরি রাখুন হাতের কাছে। এতে মস্তিষ্ক সচল রাখা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ক্ষমতাও রয়েছে।
প্রতীকী ছবি।
২। কুমড়োর বীজ
কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন। চিন্তাভাবনা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এই পুষ্টিগুণ অত্যন্ত জরুরি। খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলেও কুমড়োর বীজ নিয়মিত খেলে চাপমুক্ত হতে পারেন। স্যালাড, ওটস্ বা তরকারিতে যেমন দিতে পারেন, আবার শুকনো খোলায় ভেজে খানিক নুন মাখিয়ে এমনিও মুখ চালানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন এগুলি।
৩। ডার্ক চকোলেট
মানসিক চাপ কমানো, অবসাদ দূর করা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট। নিয়মিত এক টুকরো করে খাঁটি ডার্ক চকোলেট যদি রাতে খেতে পারেন, তা হলে উপকার পাবেন। এই জাতীয় চকোলেট বার্ধক্য আটকাতেও কার্যকর।
৪। কফি
দীর্ঘকালীন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কফি দারুণ কাজে দেয়। যদিও ক্যাফেইনের প্রভাব শরীরে নানা ভাবে প়ড়তে পারে, তা হলেও কফির ভাল দিকও প্রচুর রয়েছে। নিয়মিত মেপে কফি খেলে আপনি নানা ভাবে উপকৃত হবেন।
৫। আখরোট
বয়স বাড়ার সঙ্গে যে ধীরে ধীরে মানুষের স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, তা খানিকটা রুখতে পারে আখরোট। হেঁশেলে তাই এই ড্রাই ফ্রুট থাকলে চিন্তার কারণ নেই। নিয়মিত খেলে মস্তিষ্ক সচল থাকবে বহু দিন।