প্রতীকী ছবি।
বাঙালির যে কোনও উৎসবেই চাই মন মতো খাওয়াদাওয়া। ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচও একটি বড় উৎসবই বটে। রবিবারের সন্ধ্যায় এমন খেলা দেখতে বসার নানা আয়োজন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খেলা দেখার সময়ে খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা তো আছেই। কিন্তু সবে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো কেটেছে। সামনে আসছে আবার কালীপুজো, ভাইফোঁটা। এই মাঝের সময়টিতে অনেকেই হাল্কা খাবার খেতে চাইছেন। তাই বলে খেলা দেখার সময়ে মুখ চলবে না, তা তো হয় না।
বরং টেলিভিশনের সামনে বসে পড়ার আগে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার হাতের কাছে নিয়ে বসুন।
কী কী খাবার রাখতে পারেন?
১) পপকর্ন: বা়ড়িতে পপকর্ন থাকলে বার করে রাখুন। তবে চিজ বা ক্যারামেল দেওয়া পপকর্ন খাবেন না। সাধারণ পপকর্ন বাড়িতেই তৈরি করে ফেলুন। তার উপরে সামান্য বিটনুন বা চাটমশলা ছড়িয়ে দিতে পারেন।
বা়ড়িতে পপকর্ন থাকলে বার করে রাখুন।
২) ছোলা: ছোলায় রয়েছে নানা রকম পুষ্টিকর উপাদান। ছোলা দিয়ে অনেক ধরনের খাবার বানিয় নেওয়া যায়। সেই ছোলা সিদ্ধ করে ঝট করেই স্যালাড বানিয়ে ফেলতে পারেন। ঝালঝাল ছোলা-মাখাও বানিয়ে ফেলতে পারেন। সেই ছোলা মাখা দিয়ে দেওয়া যেতে পারে নানা রকম রোল বা র্যাপে। সঙ্গে কিছুটা শসা-পেঁয়াজ আর লেবুর রস উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিলে তো কথাই নেই। বেশ মুখরোচক হবে সেই জলখাবার। পাশাপাশি, অভেনে রোস্টও করে রাখা যায় ছোলা। রোস্ট করার সময়ে সামান্য নুন, চাট মশলা মাখিয়ে রোস্ট করুন। খিদে পেলে মুখ চালানোর জন্য এটি ভাল বিকল্প।
৩) দই: দই শুনে অবাক হচ্ছেন? কিন্তু এর থেকে স্বাস্থ্যকর খাবার আর কী বা হতে পারে! তবে এ ক্ষেত্রে একটু বুদ্ধি খাটাতে হবে। দইয়ের সঙ্গে ড্রাই ফ্রুট বা বেরি জাতীয় ফল মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। দই দিয়ে আবার কয়েক রকম রায়তা বানিয়ে নিতে পারেন। ঘোল কিংবা শেক-ও বানিয়ে নিতে পারেন। ঘোলে একটু জিরে, নুন, পুদিনা পাতা দিয়ে দিতে পারেন। আবার শেক বানানোর সময়ে দিয়ে দিতে পারেন কয়েক রকমের ফল। আম, কলা, আপেল— যে কোনও ফল দিতে পারেন। এগুলি খেলে মনও ভরবে, খিদেও মিটবে।