তেলের কুলকুচির উপকার ছবি: সংগৃহীত
নুন এবং তেল দিয়ে দাঁত মাজার কথা অনেকেই জানেন। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, এই পদ্ধতিতে দাঁত মাজলে হলদে ছোপ দূর হবে, মাড়িরও উপকার হবে। কিন্তু তেলের কুলকুচি? আয়ুর্বেদে দাঁতের যত্নের জন্য এটির কথাও বলা হয়েছে। তবে তেলের কুলকুচিতে শুধু দাঁতের নয়, শরীরের আরও নানা উপকার হতে পারে। এমনই বলছেন বহু চিকিৎসক।
কী ভাবে করতে হয় তেলের কুলকুচি? মুখ ভর্তি তেল নিয়ে ঠোঁট দুটো শক্ত করে চেপে রাখতে হয়। তার পরে তেল মুখের ভিতর থেকে বাইরের দিকে ঠেলতে হয়। আবার বাইরের দিক থেকে ভিতর দিকে টানতে হয়। এ ক্ষেত্রে দাঁতের ফাঁক দিয়ে তেল যাওয়া আসা করে। তাতেই দাঁত এবং মা়ড়ির উপকার হয়। আয়ুর্বেদ মতে, তিলের তেল বা নারকেল তেলই এই কুলকুচিতে ব্যবহার করার কথা।
তেল দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়, মাড়ির নানা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। এমনই বলা হয়েছে আয়ুর্বেদে। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে আরও কয়েকটি গুণ। সেগুলি কী কী?
• তেলের কুলকুচির ফলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। এমনই বলা হয়েছে আয়ুর্বেদে। এমনকি পেটের নানা অসুখের আশঙ্কাও কমে। কারণ তেলের কুলকুচি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়।
• একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, তেলের কুলকুচির ফলে লালারসের গুণগত মান ভাল হয়। তাতে খাবার হজম করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শরীরে মেদ জমে কম, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদ্যন্ত্রের উন্নতি হয়।
• কুলকুচি করার জন্য নানা ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। এগুলি যেমন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক জীবাণুদের মেরে ফেলে, তেমনই এর প্রভাবে উপকারী জীবাণুগুলিও মারা যায়। কিন্তু তেলের কুলকুচিতে এটি হয় না। ফলে শরীর সুস্থ থাকে।