নবদম্পতি।
বিয়ে মানে দু’জন মানুষের সঙ্গে দুই পরিবারের মিলন। আচার-অনুষ্ঠান মেনে সাত পাকে বাঁধা পড়া! তবে সে সব রীতি-রেওয়াজে বেশির ভাগ নিয়ম পালন করতে হয় কনেকেই। কেন? উত্তর একটাই। এ দেশে এমনটাই হয়ে আসছে কিংবা আমাদের শাস্ত্রে এমনটাই লেখা রয়েছে।
সাধারণত আমরা গুরুজনদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি। হিন্দুশাস্ত্রে গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার এটি অন্যতম পন্থা। বিয়ের অনুষ্ঠানেও এই দৃশ্য দেখে আমরা অভ্যস্ত। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর কনেকে বলা হয় স্বামীর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতে। কিন্তু দিতি গোরাদিয়া রায়ের বিয়েটা যে ভাবে হল, তা সমাজের কাছে নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। নিজের বিয়ের ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন দিতি। আর সেই ভিডিয়োই এখন নেটাগরিকদের চর্চার বিষয়। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠানের মাঝেই দিতির বর তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন। হতভম্ব দিতি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাটি ঘটিয়ে ফেলেছেন দিতির বর! আর তার পরেই আলিঙ্গন। দু’জনের মুখেই চওড়া হাসি।
ভিডিয়োর নীচে দিতি লেখেন, ‘আমাদের পুরোহিত মশাইয়ের এই কাজটা মোটেও পছন্দ হয়নি! তবে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হওয়ার পর তিনি আমার কানে কানে বললেন, সত্যিই তুমি খুব ভাগ্যবতী।’
দিতির শেয়ার করা এই ভিডিয়ো নেটাগরিকদের মন কেড়েছে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘অগ্নিসাক্ষী রেখে যখন দু’জন মানুষ জীবনের সব কিছু সমান ভাবে ভাগ করে নেওয়ার শপথ নেন, তখন সম্মান প্রদর্শনে কার্পণ্যের কারণ কী? এমনটাই তো হওয়া স্বাভাবিক’।