ঘর মোছার চাকরিটি মোটেই মায়রার কাছে সম্মানের ছিল না। ছবি: সংগৃহীত।
ছিলেন সাধারণ মেয়ে। রাতারাতি হয়ে গেলেন ‘বড়দের’ পত্রিকার ‘কভার গার্ল’। গল্পটি ব্রাজ়়িলের মায়রা লোপসের। মডেলিং শুরু করার আগে শহরের উচ্চবিত্তদের বাড়িতে ঘর মোছার কাজ করতেন মায়রা। নিজের ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভাল কাজের খোঁজ করতে শুরু করেন তিনি।
২০১৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর ছেলেকে নিয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন ময়রা। বাড়ি বা়ড়ি চাকরি করে দিনে ৬০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০০০ টাকা) আয় করতেন তিনি। ঘর মোছার চাকরিটি মোটেই মায়রার কাছে সম্মানের ছিল না। এক সাক্ষাৎকারে মায়রা বলেন, ‘‘ছোট থেকেই ‘প্লে বয়’ পত্রিকার প্রতি ঝোঁক ছিল আমার। সেই পত্রিকার কভার গার্ল হতে পারব, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। একটা সময়ে হতাশায় ভুগছিলাম। তবে মা ও সন্তানের কথা চিন্তা করে আমি কন্টেট ক্রিয়েটর হওয়ার কথা ভাবি। বড়দের জন্য ভিডিয়ো করলে বেশি রোজগারের সুযোগ, তাই সে পথেই হাঁটি। আট বছর অনেক পরিশ্রমের পর ফল পেলাম।’’
এক সাক্ষাৎকারে মায়রা বলেন, ‘‘ছোট থেকেই ‘প্লে বয়’ পত্রিকার প্রতি ঝোঁক ছিল আমার।’’ ছবি: সংগৃহীত।
জীবনে এমন পরিবর্তন আসার পর কি মায়রার যৌনজীবনেও পরিবর্তন এসেছে? এই প্রশ্নেরও খোলামেলা জবাব দিলেন মায়রা। তিনি বললেন, ‘‘কাজের সূত্রে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করেছি! তবে মনের মতো কাউকে এখনও পাইনি। ‘প্লে বয়’-তে ছবি বেরোনোর পর আমার চাহিদা অনেক বেড়েছে। আশা করছি এ বার মনের মতো সঙ্গীকে পেয়ে যাব।’’