নিয়ম না মানলে ঘটতে পারে বিপদ। ছবি: সংগৃহীত।
খাবার গরম করা থেকে রকমারি খাবার বানানো— দৈনন্দিন জীবন সহজ করে তুলতে মাইক্রোওয়েভ অভেনের সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। খেতে বসার আগে খাবার গরম করা বেশ ঝক্কির একটা কাজ। তা ছাড়া সব খাবার গ্যাসে গরম করাও মুশকিল। সে ক্ষেত্রে মাইক্রোঅভেন থাকলে অনেকটাই সুবিধা হয়। মাইক্রোওয়েভ অভেন ব্যবহার করা বিশেষ সময়সাপেক্ষ নয়। তাড়াতাড়ি হয়েও যায়। ঘর এবং বাইরে একসঙ্গে সামলাতে হলে বাড়িতে একটা মাইক্রোওয়েভ অভেন থাকা জরুরি। তবে মাইক্রোওয়েভ অভেন ব্যবহারের আগে কিছু বিষয় খানিক মাথায় রাখা জরুরি। কিছু জিনিস মাইক্রোঅভেনে না ঢোকানোই ভাল। নিয়ম মেনে না চললে বিপদ ঘটে যেতে পারে।
প্লাস্টিকের বাক্স
প্লাস্টিকের বাক্সতে ভরে খাবার রেখেছিলেন। খেতে বসার আগে আগুপিছু কিছু না ভেবে ফ্রিজ থেকে বার করে মাইক্রোওয়েভ অভেনে ঢুকিয়ে দিলেন। সেই মুহূর্তে কোনও সমস্যা না হলেও শরীরের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। প্লাস্টিকের কৌটোতে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিকস্ খাবারের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশ করে। এর থেকেই ঝুঁকি বাড়ে ক্যানসার, হার্টের অসুখের।
স্টিলের পাত্র
স্টিলের পাত্র ভুলেও মাইক্রোওয়েভ অভেনে ঢোকাবেন না। স্টিলের পাত্র মাইক্রোঅভেন খারাপ করে দিতে পারে। তা ছাড়া, স্টিলের পাত্রে খাবার একেবারেই গরম হয় না। কারণ, স্টিল মাইক্রোওয়েভ অভেনের উত্তাপ ফিরিয়ে দেয়, ফলে খাবার গরম হওয়ার সুযোগ থাকে না।
সেদ্ধ ডিম
খোসা-সহ সেদ্ধ ডিম মাইক্রোঅভেনে গরম না করাই শ্রেয়। তা হলে খোসা ফেটে ছোটখাটো বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
স্টিলের পাত্র ভুলেও মাইক্রোওয়েভ অভেনে ঢোকাবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল
বাইরে থেকে অনেক খাবারই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই ফয়েল-সহ মাইক্রোঅভেনে ঢুকিয়ে তা গরম করেন। তবে এতে খাবার তো গরম হয়ই না, বরং ফয়েলে থাকা নানা রাসায়নিক পদার্থ খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। এতে শরীরের ক্ষতি হয়।