পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে অনায়াসে কলা খাওয়া যেতে পারে। ফাইল ছবি।
মরসুম বদলানোর সময় এসেছে। শীত প্রায় চলে গিয়েছে। এই সময়ে নানা রকম শারীরিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসে শরীরে। বাড়ির খুদেটির প্রতি বাড়তি নজর না দিলে মুশকিল। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। সব সময়ে রোগের সঙ্গে লড়াই করতে তারা পারে না। ফলে একটু অনিয়মেই খারাপ হয়ে পড়ে শরীর। যে কোনও রকম শারীরিক অসুস্থতা থেকে শিশুকে দূরে রাখতে খাওয়াদাওয়া বদল আনা জরুরি। শাকসব্জি থেকে ফলমূল— সন্তানের রোজের পাতে রাখতে ভুলবেন না। কারণ, এগুলিতে থাকা উপকারী উপাদান রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায় শরীরে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি খালি পেটে শিশুকে খাওয়ালে শরীর চাঙ্গা থাকবে।
কাঠবাদাম
প্রোটিন, আয়রন, ফাইবার, ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ কাঠবাদাম শরীরের জন্য কতটা উপকারী, তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। রোজ সকালে খালি পেটে শিশুকে একটি করে কাঠবাদাম খাওয়াতে পারলে ভাল। এই বাদাম শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে। হাড়ের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি তৈরি করতে পারে প্রতিরোধক্ষমতাও।
কলা
সাধারণ ভাবে ভরা পেটে ফল খাওয়ার কথা প্রচলিত। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে অনায়াসে কলা খাওয়া যেতে পারে। শিশুর রোজের সকালের খাবারে রাখুন আয়রন, কার্বোহাইড্রেট, জিঙ্ক, সোডিয়ামের মতো কিছু উপকারী উপাদান। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে কলা। সেই বাড়িয়ে তুলবে প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
আপেল
শিশুদের রোজ একটি করে আপেল খাওয়ানোর কথা বলেন পুষ্টিবিদরা। কারণ এই ফলে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, জিঙ্কের মতো উপাদান। যেগুলি শিশুর দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাবে। হাড়ের যত্ন নেবে। দিনের যে কোনও সময়ে খাওয়া যেতে পারে এই ফল। তবে খালি পেটে খেলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে।
গরম জল
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে গরম জল খাওয়ার উপকারিতা অজানা নয় কারও। অনেকেই তা মেনেও চলেন। খালি পেটে গরম জল খাওয়াতে পারেন শিশুকেও। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় গরম জল। সেই সঙ্গে হজমশক্তি বাড়াতে এবং শরীর চনমনে রাখতে গরম জল খাওয়ানো জরুরি।