ডিম যদি খেতে ইচ্ছে না-ও করে, একই রকম প্রোটিন কিন্তু অন্য কয়েকটি খাবারেও রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
ডিমের চেয়ে মাছ খেতে বেশি ভালবাসেন অনেকে। বা়ড়িতে যদি ডিম এবং মাছের মধ্যে কোনও একটি পদ বেছে নিতে বলা হয়, তা হলে অনেকে চোখবন্ধ করে মাছই খাবেন। শরীরের যত্ন নিতে মাছ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। চোখ এবং হাড় ভাল থাকে মাছ খেলে। তবে স্বাস্থ্যগুণের দিকে থেকে পিছিয়ে নেই ডিমও। বরং কিছু ক্ষেত্রে কয়েক গোল দেয় মাছকে। ভিতর থেকে ফিট থাকতে ডিমের ভূমিকা অপরিসীম। ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপকারী উপাদানে ঠাসা ডিম। রোগব্যাধির ঝুঁকি কমাতেও রোজ একটি করে ডিম খেতে পারলে ভাল। শুধু অপছন্দই নয়, ডিমে অনেকের আঁশটে গন্ধও লাগে। ডিম যদি খেতে ইচ্ছে না-ও করে, একই রকম প্রোটিন কিন্তু অন্য কয়েকটি খাবারেও রয়েছে। জানেন সেগুলি কী?
নিরামিষ খান যাঁরা, তাঁদের কাছে পনির অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
ডাল
নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর প্রাণিজ প্রোটিনের চেয়েও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেশি করে খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মধ্যে ডাল অন্যতম। শরীরচর্চা করলেও খাবারের তালিকায় ডাল থাকেই। শারীরিক কসরত করতে যে পরিমাণ প্রোটিন প্রতি দিন প্রয়োজন, তা পাওয়া যায় ডাল থেকেই। তাই ডিম না খেলেও ডাল খাওয়া জরুরি।
কিনোয়া
শরীরচর্চা করেন বা অতিরিক্ত মেদ ঝরাত ডায়েট মেনে খাবার খান যাঁরা, তাঁদের কাছে কিনোয়া যথেষ্ট জনপ্রিয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভাত বা রুটির বদলে এক বেলা কিনোয়া খাওয়া যেতেই পারে। ফাইবারের পাশাপাশি, এক কাপ কিনোয়া থেকে প্রায় ৭ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন পাওয়া যেতে পারে। ডিম না খেয়েও শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি হবে না।
পনির
নিরামিষ খান যাঁরা, তাঁদের কাছে পনির অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎস হল পনির। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এক কাপ পনিরে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ১২ গ্রাম। নিরামিষ তরকারি হোক বা স্যালাড, পনির ব্যবহার করাই যায়। ডিম না খাওয়ার অভাব পূরণ হবে এতে।