‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেশন’-এর তরফে কোরোনাভাইরাসের একটি প্রতিকৃতি। ছবি: রয়টার্স
কেরলের বাসিন্দা, চিনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীও তাঁর বিমান-সহযাত্রীর শরীরেও এনসিওভি সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কলকাতা ছুঁয়েই করোনা ঢুকেছে কেরলে। করোনাভাইরাসের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে গোটা দেশ। মূলত ভাইরাসের হানায় ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি থেকেই এই অসুখের সূত্রপাত।
এ দিকে শীতের বিদায়পর্বেও ঝড়বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঋতু পরিবর্তনের মরসুমে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেক গুণ। এই সময় হাজারও সচেতনতার পরেও সহজে ভাইরাল ফিভার, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন অনেকেই। করোনার হানায় এ বছর অসুখ ঠেকিয়ে রাখায় প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে অনেক গুণ। তাই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ যত্নবান হওয়া খুবই জরুরি।
যে কোনও বয়সীর শরীরেই হানা দিতে পারে এই করোনাভাইরাস। তাই সচেতনতার সঙ্গে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলাও এই সময় খুব প্রয়োজন। নিজেকে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচানোর অন্যতম একটি উপায়, বৃষ্টিতে না ভেজা। এ ছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাথমিক মোকাবিলা করার পাঠ জেনে রাখলে আখেরে লাভ নিজেরই।
আরও পড়ুন: টনসিলের ব্যথায় নাজেহাল? এই সব ঘরোয়া উপায়েই মিলবে আরাম
ঠান্ডা লাগা ও সর্দি-কাশি ঠেকাতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে
• ঠান্ডা লাগা ও সর্দি-কাশির সমস্যায় তুলসী পাতার রস খুব কার্যকর। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খান। ঠান্ডা লাগতে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হলেই গরম জলে তুলসী পাতা ফেলে গার্গল করুন।
• মধু ও পাতিলেবুর রস শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। মধু প্রাকৃতিক ভাবেই শ্লেষ্মাজনিত অসুখের ভিলেন। এক কাপ জলে দু’চামচ মধু, এক চামচ পাতিলেবুর রস ও আধ চামচ দারচিনি গুঁড়ো ফুটিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। প্রতি দিন দু’বার এই সিরাপ খান। লেবুর রস ও মধুর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান সর্দি-কাশি ও ভাইরাসের হানার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
• রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধে অল্প হলুদ মেশান। ঈষদুষ্ণ অবস্থায় খেলে সর্দি-কাশি থেকে রেহাই মিলবে তাড়াতাড়ি। হলুদ অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল হওয়ায় সর্দি-কাশি কমাতে বিশেষ কার্যকরী।
আরও পড়ুন: শরীরকে সুস্থ ও তরতাজা করতে চান? ভরসা রাখুন টক দইয়ে
• জলে আদা, কাবাবচিনি, যষ্টিমধু, লবঙ্গ, দারচিনি, তালমিছরি, তুলসি পাতা, বাসক পাতাএকসঙ্গে ভাল করে ফুটিয়ে একটি পাঁচন তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন। খাওয়ার আগে গরম করে গরম গরম খান এই পাঁচন। দিনে দু’-তিন বার এই পাঁচন খেলে বুকে কফ বসে থাকা, সর্দি-কাশির হানা থেকে মুক্ত থাকবে শরীর।
• কোনও ভাবে বৃষ্টি ভিজলে বাড়ি ফিরেই উষ্ণ জলে ভাল করে স্নান করে নিন। তাতে ঠান্ডা কামড়ে ধরার অবকাশ পাবে না। ভাতের পাতে রাখুন ঘিয়ে ভাজা রসুন।