ঘরবাড়ি পরিষ্কারে বাড়তি নজর দিন। ছবি: শাটারস্টক।
করোনার দাপটে ঘরবাড়ি পরিষ্কারেও বাড়তি নজর দিচ্ছেন সকলেই। প্রতিটি ঘরকেই জীবাণুমুক্ত রাখতে এখন অতিরিক্ত যত্ন প্রয়োজন। সাবান, বিশেষ করে গরম জলে সাবান ফেলে ঘরের মেঝে, জানলার পাটা, রান্নাঘর, বাথরুম সবই সাফ করা যায়। কিন্তু তাতে স্রেফ নোংরা পরিষ্কার হয়, জীবাণুমুক্ত নয়। ঘরদোরকে জীবাণুমুক্ত করতে তাই প্রয়োজন কিছু বাড়তি সতর্কতার।
এখন বাড়িতে লোকজনের আাগোনা নেই। তবে ধীরে ধীরে লকডাউন উঠলে নিয়ম মেনেই হয়তো আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরব। এর পর বাইরে যাতায়াত বাড়লে, লোকজনের আনাগোনা শুরু হলে, বাড়ির কাজের সহায়করা ফিরলে ঘরবাড়ি পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়বে।
ঠিক কী কী উপায়ে ঘরবাড়ি পরিষ্কারের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া সম্ভব? রইল তেমন কিছু টিপ্স।
আরও পড়ুন: শুধু খাওয়াদাওয়ায় নজরই নয়, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান এই সব উপায়েও
• এই সময় ঘরবাড়ি পরিষ্কারের কাজে ভরসা করতে পারেন অ্যালকোহল, প্যারক্সাইড বা ক্লোরিনযুক্ত কিছু উপাদানের উপর। এককথায় এদের ‘ক্লিনিং এজেন্ট’ বলে। সাধারণ ওষুধের দোকানেই এগুলো পাওয়া যায়। এর সঙ্গে জীবাণুমুক্ত করার উপযোগী ওয়েট টিস্যুও কিনে রাকুন, এ সব দিয়ে ঘরবাড়ি-বাথরুম পরিষ্কার করুন।
• ঘর মোছার সংখ্যাটা বাড়িয়ে নিন। দিনে যেখানে দু’বার মুছতেন, সেখানে চার বার মুছুন। ঘর ঝাড়া-মোছার সঙ্গে কিন্তু পাখা ও এসি পরিষ্কার করাটাও খুব দরকারি। ঘর ঝাড়ামোছার সময় রোজই পাখা মুছে নিন। এসি সার্ভিসিং বন্ধ থাকলেও উপর উপর যতটা পারা যায় পরিষ্কার রাখুনম। প্রয়োজনে এসি-র সংস্থার সঙ্গে কথা বলে সার্ভিসিংয়ের পরামর্শ নিন।
• সাধারণত, বাড়িতে মেঝে সাবান জলে মুছে নিলেই চলবে। কিন্তু এই সময় বাড়ির প্রতিটি সারফেসও একই ভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে বার বার। তবে জীবাণুমুক্ত করার আগে জায়গাটা একেবারে পরিষ্কার করে নিন। ময়লা জমে থাকলে কিন্তু জীবাণুমুক্ত করার সলিউশনও কোনও কাজ করবে না।
আরও পড়ুন: করোনাকে হয়তো পুরোপুরি ধ্বংস করা যাবে না, মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
• ঘরবাড়ি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ফ্রিজ-ওয়াশিং মেশিন এগুলোও পড়ে। ফ্রিজের ভিতর লেবু কেটে রেখে দিন। কোনও দুর্গন্ধ হবে না। এ ছাড়া ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিনের বেলায় প্রয়োজনীয় সলিউশন দিয়ে তার বাইরেটা মুছে নিন।
• বাড়ির চার পাশে আগাছা হলে বা ঝোপঝাড় থাকলে হয় তা নিজেই পরিষ্কারের চেষ্টা করুন, নয়তো প্রতি দিন জীবাণুনাশক স্প্রে করুন বাড়ির চারপাশে।