লিভার ভাল রাখতেও হলুদের ভূমিকা রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
আমিষ হোক নিরামিষ, প্রায় সব রান্নাতেই হলুদের ব্যবহার রয়েছে। হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামক যে উপাদান রয়েছে। বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে এই উপাদান একাই একশো। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস থেকে মস্তিষ্কের জটিল স্নায়ুর রোগ অ্যালঝাইমার্স— সবই প্রতিরোধ করে কাঁচা হলুদ। লিভার ভাল রাখতেও হলুদের ভূমিকা রয়েছে। অনেকেই সকাল বেলা খালি পেটে কাঁচা হলুদ বাটা খেয়ে থাকেন। অনেকের আবার কাঁচা হলুদের গন্ধে বমি উঠে আসে। খালি পেটে থাকলে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। তবে কাঁচা হলুদ খাওয়ার কিন্তু অন্য আরও উপায় আছে।
১) দুধের মধ্যে
দুধে এক চিমটে হলুদ দিয়ে খাওয়ার চল বহু পুরনো। গা, হাত পায়ের ব্যথা, প্রদাহ দূর করতে দারুণ কাজ করে এই পানীয়। চাইলে মধু এবং গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন এই পানীয়ে।
২) স্মুদিতে
সকাল সকাল বিভিন্ন রকম ফল, দই, ওট্স দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খান। এই পানীয়ের মধ্যে কয়েক টুকরো হলুদ দিয়ে দিতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলার জন্য বিশেষ ভাবে কার্যকর এই পানীয়।
৩) স্যালাড হিসেবে
অলিভ অয়েলের মধ্যে গ্রেট করা কাঁচা হলুদ, লেবুর রস, নুন এবং গোলমরিচ মিশিয়ে রেখে দিন। যে কোনও স্যালাডে ড্রেসিং করার জন্য এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন। স্বাদ বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের খেয়ালও রাখবে এই মিশ্রণ।
৪) আচারের মধ্যে
কাচের শিশিতে ছোট ছোট করে কাটা হলুদ, ভিনিগার, নুন এবং সামান্য মধু রেখে দিন। নিয়মিত রোদেও রাখতে পারেন। তবে রোদ খাওয়ানোর পর আবার ঠান্ডাও করতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে স্যালাড কিংবা স্যান্ডউইচের সঙ্গে খেতে মন্দ লাগবে না।
৫) টারমারিক শট্স
কাঁচা হলুদের সঙ্গে আদা, লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে নিন। তার পর ছেঁকে নিয়ে তৈরি করে ফেলুন কাঁচা হলুদ কনসেনট্রেটেড শট্স। বাজার চলতি অ্যালকোহল-যুক্ত শট্স-এর বদলে বাড়িতে বানানো এই পানীয়ের স্বাদ ঢের ভাল।