সন্তানধারণের প্রস্তুতি পর্বে কোন ভুল নয়। ছবি: সংগৃহীত।
দু’জনে নানা বিষয় মাথায় রেখে হয়তো পরিকল্পনা করেছিলেন ঠিক কোন সময়ে আপনারা বাবা-মা হতে চান। সেই মতো মানসিক প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছিলেন। যাবতীয় পরীক্ষা করে হয়তো দেখেছেন কোনও রকম শারীরিক সমস্যা নেই। অথচ অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই সন্তানধারণ করতে পারছেন না। আসলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চেষ্টা করার সময়ে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। দীর্ঘ অপেক্ষায় আরও মানসিক চাপ বাড়তে শুরু করে। তার প্রভাব পড়ে শরীরের উপরও। ফলে অন্তঃসত্ত্বা হতে আরও সময় লেগে যায়। অনেকেই ঠিক এই সময়ে বুঝতে পারেন না যে, তাঁরা অজান্তেই কিছু এমন ভুল করে ফেলছেন, যার জন্য আরও বেশি পিছিয়ে যাচ্ছে তাঁদের এই নতুন সফর। কিছু নিয়ম মানলেই এই নতুন পথচলা আরও মসৃণ হয়ে উঠবে। সেগুলি কী, জেনে নিন।
১) অনেকেই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করান না। তবে সন্তানের ভাবনা ভাবার আগে অবশ্যই থ্যালাসিমিয়ার পরীক্ষা করানো জরুরি। এক জন রোগের কেরিয়ার হলে সমস্যা নেই৷ কিন্তু দু’জনই কেরিয়ার হলে সন্তানের মধ্যেও এই রোগ দেখা দিতে পারে। তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়া জরুরি।
২) হবু মা-বাবাকে অতিরিক্ত বইরের খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত ক্যাফিন, ধূমপান-মদ্যপান বন্ধ করতে হবে। প্রতি দিন হালকা ব্যায়াম, রাতে সঠিক সময়ে ঘুমোনো ও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসও জরুরি।
৩) সন্তানধারণের ক্ষেত্রে পিসিওডি রোগ একটি বড় বাধা হতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই খাওয়াদাওয়ার রাশ টানলে, বাইরের ভাজাভুজি কম খেলে, নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্যে থাকলে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চললে এই অসুখকে জব্দ করা সম্ভব। এই রোগ বাড়াবাড়ি পর্যায় পৌঁছলে গর্ভধারণেও সমস্যা হতে পারে। তাই মেদ ঝরিয়ে নিজেকে ঝরঝরে করে রাখার পাশাপাশি এই অসুখ থাকলে একটু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
কোনও রকম ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত হলে সন্তানধারণের আগে সেই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
৪) কোনও রকম ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত হলে সন্তানধারণের আগে সেই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। থাইরয়েড, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেই রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি।
৫) প্রি প্রেগন্যান্সি কাউন্সিলিংয়ের চাহিদা এখন তুঙ্গে। সন্তানধারণের আগে এক বার সেই রকম কাউন্সেলিং করিয়ে নিতে পারেন।