কী ভাবে সঞ্চয়ী হয়ে উঠতে পারেন মহিলারা? ছবি: সংগৃহীত।
বেড়ে চলা বাজারদর এবং নিত্যদিনের খরচ সামলাতে ছোট পরিবারে দু’জনের রোজগার নিয়েও হিমশিম খেতে হয়। তার মধ্যে সন্তানদের নানা রকম আবদার, তাদের লেখাপড়ার খরচ মেটানোর পর ভবিষ্যতের চিন্তা আর নিজেদের শখ বলতে আর বিশেষ কিছু থাকে না। বেশির ভাগ পরিবারেই সংসার সামলানোর হাল যে হেতু মহিলাদের কাঁধে থাকে, তাই মাসের শেষে হাতে টান পড়লে ঘুরেফিরে বাড়ির ‘অর্থমন্ত্রী’-র দ্বারস্থ হতে হয় বেশির ভাগ পুরুষকে। মহিলাদের কাছে কিছু জমানো টাকা থাকলে তাঁরা সময় মতো পরিবারের কোনও সমস্যায় আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। মহিলারা কী ভাবে সঞ্চয়ী হয়ে উঠতে পারেন?
১) মাসের খরচে নির্ধারণ: মাস শুরু হওয়ার আগেই সম্ভাব্য খরচের একটা তালিকা তৈরি করে ফেলুন। সম্ভব হলে প্রতি দিনের খরচ লিখে রাখুন। মাসের শেষে মিলিয়ে দেখুন ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী সব খরচ হল, না কি তা ছাড়িয়ে গেল। মাসের প্রথমে কোনও কারণে বেশি খরচ হলে শেষের দিকে খরচ কমাতে হবে। প্রয়োজনে প্রতি মাসের খরচের হিসাবে সামান্য টাকা বাড়িয়ে ধরুন, নির্দিষ্ট টাকার মধ্যে খরচ সীমাবদ্ধ করে বাকিটা সাশ্রয় করুন।
২) আলাদা খরচের জন্য আলাদা অ্যাকাউন্ট: কোন খাতে কত খরচ হবে, তা হিসাব করে এক জায়গায় নয়, আলাদা করে রাখুন। এক জায়গা রেখে দিলে খরচের সময়ে খেয়াল না-ও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে খরচ বেশি হয়ে যেতে পারে। তাই
৩) জমানোর চেয়ে লগ্নি করা ভাল: অনেকেই মনে করেন, খরচ না করে বিছানার তলায় থরে থরে টাকা জমিয়ে রাখলেই বোধ হয় লক্ষ্যপূরণ হবে। কিন্তু বাড়িতে বা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা জমানের চেয়ে কোনও প্রকল্পে লগ্নি করা ভাল। এই অভ্যাসে টাকার বাজারদর এবং চাহিদা সবটাই বুঝতে পারবেন।
জরুরিকালীন সঞ্চয় রাখা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
৪) জরুরিকালীন সঞ্চয়: বিপদ তো আগে থেকে জানিয়ে আসে না। বিশেষ করে বাড়িতে বয়স্ক সদস্য কিংবা শিশু থাকলে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হতেই পারে যখন-তখন। তাই আগে থেকে সেই বাবদ খরচের আলাদা একটি অ্যাকাউন্ট রাখতে পারেন।
৫) ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়: যত কম বয়স থেকে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করে ফেলতে পারবেন, ততই ভাল। পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া থেকে শুরু করে বুড়ো বয়সে বিশ্ব ভ্রমণ, সবটাই ভেবে রাখা ভাল। চাকরির পরবর্তী জীবন কী ভাবে কাটাবেন, সেই পরিকল্পনা করে এখন থেকেই অল্প অল্প করে টাকা সরিয়ে রাখুন।