বুফে খেতে গিয়ে কোন ৫ ভুল এড়িয়ে চললে পয়সা উসুল করতে পারবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বছরের শেষ দিনটা পরিবারের সঙ্গে বাইরে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? শহর জুড়ে ইদানীং বুফে ভোজনের প্রবণতা বেড়েছে। একটি নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে যত খুশি খেতে পেলে আর কী চাই! আপনিও কি বুফে খাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? কিন্তু বুফে রেস্তরাঁয় যাওয়ার আগে যতই আমরা খাই খাই করি না কেন, খাওয়ার বেলা খুব বেশি খেতে পারি না। স্টার্টার খেয়েই পেটভার হয়ে যায়, মেনকোর্স খাওয়ার আর পেটে জায়গা থাকে না। পেটটা কেমন আইঢাই করে! আসলে বুফে খাওয়ার আগে অনেকেই কিছু ভুল করে বসেন, যে কারণে খাওয়াটাই পুরো মাটি হয়ে যায়। বুফে খেতে গেলে কী পোশাক পরছেন, সেই দিকটাও মাথায় রাখতে হবে বইকি। খুব আঁটসাঁট পোশাক পরলে কিন্তু অল্প খেলেও শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। জেনে নিন, বুফে খাওয়ার আগে আর কী কী ভুল এড়িয়ে চলবেন।
১) রেস্তরাঁয় গিয়ে বেশি করে খাওয়ার লালসায় দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না যেন। খেয়াল রাখুন, বুফে ভোজনের আগে তিন-চার ঘণ্টার বেশি যেন পেট খালি না থাকে। দীর্ঘ ক্ষণ পেট খালি থাকার পর ভারী খাবার খেতে গেলেই গা গুলিয়ে উঠবে, তখন সামনে পছন্দের পদ থাকলেও খেতে মোটেও ইচ্ছে করবে না।
২) শীতকালে অনেকেই জল কম খান। বুফে খেতে যাওয়ার আগে এই ভুল কিন্তু করবেন না। সারা দিন যথেষ্ট পরিমাণে জল খান। শরীরে যেন জলের ঘাটতি না থাকে। জলের ঘাটতি আপাত ভাবে বোঝা না গেলেও খেতে গিয়ে বার বার জল খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। খাওয়ার সময়ে বেশি জল খেলে পেট এমনিতেই ভর্তি হয়ে যাবে।
৩) মূল খাওয়াদাওয়ার আগে যে কোনও নরম পানীয় নৈব নৈব চ। খাওয়ার আগে চা-কফিই হোক বা ঠান্ডা পানীয়— খাওয়া মানেই খিদে নষ্ট হয়ে যাওয়া। বুফে খেতে গেলে স্যুপ খেয়েও পেট ভর্তি করবেন না।
রেস্তরাঁয় গিয়ে বেশি করে খাওয়ার লালসায় দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না যেন। ছবি: সংগৃহীত।
৪) যদি বুফেতে যান, তা হলে একসঙ্গে একাধিক খাবার মেশাবেন না। এক থালায় নিতে গিয়ে টকজাতীয় খাবার আর দুগ্ধজাত খাবার মিশিয়ে ফেলার মতো কাজ কখনওই করবেন না। ধৈর্য ধরে একটি একটি পদ চেখে দেখুন। সবগুলি চেখে দেখা হয়ে গেলে পছন্দের তিন থেকে চারটি পদে মনোনিবেশ করুন। এক প্লেটে সব খাবার না খেয়ে প্লেট পরিবর্তন করে খান।
৫) খাওয়ার পাতে গ্রেভি ও ঝোলের পদ এড়িয়ে চলুন। পেটের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়াও ভাজাভুজি, পাস্তা, স্যালাড, বিভিন্ন ধরনের সস্ দিয়ে তৈরি খাবার কম খাওয়াই ভাল। কবাব জাতীয় খাবারে বেশি মনোযোগ দিন।