ডায়াবেটিকদের জন্য ৫ সুস্বাদু প্রাতরাশের বিকল্প। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস শরীরে বাসা বাঁধলেই জীবনে চলে আসে হাজার রকম বিধিনিষেধ। ডায়াবেটিকদের ভাতের পরিমাণ, চিনি, আলু বা কন্দজাতীয় খাবার যেমন ডায়েটে কম রাখতে হয়, তেমনই কিছু ফলও বাদ পড়ে যায় তাঁদের তালিকা থেকে। তবে দুপুর বা রাতের খাবারে মাছ, মাংস, ডাল, আনাজে পেট ভরলেও সকালের জলখাবার নিয়েই হয় আসল সমস্যা। রোজ একই প্রাতরাশ কার আর ভাল লাগে? ডায়াবিটিস থাকলে কী কী খাওয়া যাবে না ভাবার বদলে ভাবুন, কী কী খেতে পারবেন। সেই তালিকা আগে তৈরি করে নিন। তার পরে সেই তালিকা মিলিয়ে বানিয়ে ফেলুন রকমারি টিফিন।
ডায়াবেটিকদের সব সময় বুঝেশুনে খাওয়া উচিত। খাবার একটু এ দিক থেকে ও দিক হয়ে গেলেই রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়তে খুব বেশি সময় লাগবে না। রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা বেশি, রোগী ইনসুলিন নেন কি না, বয়স কত, অন্য কোনও অসুখ আছে কি না— এ সব কিছু মাথায় রেখেই পুষ্টিবিদেরা ডায়াবেটিক রোগীর খাদ্যতালিকা তৈরি করেন। জেনে নিন, ডায়াবেটিক রোগীরা প্রাতরাশে কোন কোন খাবার নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
১) প্রাতরাশে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। ডায়াবেটিক রোগীরা ডিমের সাদা অংশ দিয়ে তৈরি অমলেট খেতে পারেন। ডিমের মধ্যে একটু পালং শাক কুচিয়ে দিয়ে দিন, সঙ্গে টোম্যাটো, গাজর, ক্যাপসিকাম দিয়ে দিলে স্বাদ বাড়বে। সঙ্গে একটি ব্রাউন ব্রেড টোস্ট আর শসার কয়েকটি টুকরো। এতে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে।
২) অনেকেই সকালে দুধ-কর্নফ্লেক্স খান, ডায়াবেটিক রোগীদের এই খাবার না খাওয়াই ভাল। কর্নফ্লেক্সের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি থাকে। তার চেয়ে বরং দুটো হাতে গড়া রুটি কিংবা ব্রাউন ব্রেড খেতে পারেন। ময়দা বা আটার রুটির বদলে রাগি বা বাজরার রুটি খেতে পারেন। এতে ফাইবারও পাবেন বেশি। সঙ্গে শীতকালীন সব্জি দিয়ে তৈরি তরকারি আর স্যালাড।
৩) সুজি, ডালিয়া, ওট্স জাতীয় খাবার ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়া যেতে পারে। ডালিয়া দিয়ে খিচুড়ি, ওট্স আর সব্জি দিয়ে তৈরি প্যানকেক খাওয়া যায়। এ ছাড়া ওট্সের খিচুড়ি, ওট্সের অমলেট, সুজির দোসা বা উপমা খেতে পারেন।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব ভাল টিফিন হল স্প্রাউট স্যালাড। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব ভাল টিফিন হল স্প্রাউট স্যালাড। ছোলা ভিজে কাপড়ে মুড়ে রেখে দিন। অঙ্কুরোদ্গম হলে পরের দিন শশা, পেঁয়াজ, টম্যাটো, লেবু ও লঙ্কাকুচি ছড়িয়ে খান।
৫) প্রাতরাশে ভারী কিছু খেতে ইচ্ছে না করলে এক বাটি গ্রিক ইওগার্টের মধ্যে ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে চিনি নেই, এমন গ্রিক ইওগার্টই বাছাই করুন। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।