কী কারণে ঘামে দুর্গন্ধ হয়? ছবি: সংগৃহীত।
ভালই ঠান্ডা পড়েছে। সে সবের তোয়াক্কা না করেই রোজ স্নান করছেন। কাচা জামা পরে, সুগন্ধি মেখে কাজে বেরোন। কিন্তু সেখানে পৌঁছনো পর্যন্ত তরতাজা ভাব থাকে না। সোয়েটার পরার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বাহুমূলের তলায় ঘাম জমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, এত কিছু করেও দুর্গন্ধ চাপা দেওয়া যাচ্ছে না। আপাত ভাবে পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখার কথা মাথায় এলেও ত্বকের চিকিৎসেকরা বলছেন, ঘামে দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ হল ব্যাক্টেরিয়া। এই ধরনের সমস্যা কিন্তু শুধু পরিচ্ছন্নতার অভাবে হয় না। শারীরবৃত্তীয় নানা কারণেও হতে পারে।
১) শারীরিক সমস্যা
ডায়াবিটিস, লিভার কিংবা কিডনির গুরুতর কোনও সমস্যা থাকলে ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। বিপাকহারের সঙ্গে যুক্ত কোনও রকম সমস্যা হলেই দুর্গন্ধ হয়।
২) ওজন বেড়ে গেলে
দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমলেও কিন্তু গায়ে দুর্গন্ধ হয়। প্রথমত, স্থূলত্বের সঙ্গে বিপাকহার জড়িত। দ্বিতীয়ত, চর্বি জমলে দেহে খাঁজের বাড়বাড়ন্ত হয়। ফলে দেহের আনাচ-কানাচে ব্যাক্টেরিয়ার আনাগোনা বাড়ে। সেই কারণেও ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে।
৩) পরিচ্ছন্নতার অভাব
স্নান হয়তো করছেন। কিন্তু যতটা জল দিয়ে স্নান করার কথা ঠান্ডার সময়ে তা করতে পারছেন না। ফলে দেহের যে অংশগুলি বেশি জল দিয়ে পরিষ্কার করার কথা করতে পারছেন না। সেই সব জায়গায় ব্যাক্টেরিয়া জমলে ঘামে দুর্গন্ধ হতেই পারে।
ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে বিক্রিয়ার ফলে ঘামে দুর্গন্ধ হয়। ছবি: সংগৃহীত।
৪) অতিসক্রিয় স্বেদগ্রন্থি
ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে বিক্রিয়ার ফলে ঘামে দুর্গন্ধ হয়। তাই কাচা জামা পরলেও যাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, তাঁদের গা থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো স্বাভাবিক।
৫) প্রচন্ড উদ্বেগ বা মানসিক সমস্যায় থাকলে
কোনও ঘটনায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আছেন কি? চিকিৎসকেরা বলছেন, উদ্বেগ বা মানসিক চাপে থাকলেও কিন্তু ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে।