নিরামিষ ভেবে আমিষ খাচ্ছেন না তো ছবি: সংগৃহীত
প্রত্যেক মানুষের খাদ্যাভ্যাস আলাদা। কেউ পছন্দ করেন নিয়মিত মাছ-মাংস-ডিম খেতে, কারও আবার আমিষ খাবার একেবারেই না পসন্দ! কিন্তু জানেন কি এমন কিছু খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে যেগুলি আপাতদৃষ্টিতে নিরামিষ মনে হলেও পুরোপুরি নিরামিষ নয়। রইল এমনই পাঁচটি খাবারের হদিশ।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। নান: নিরামিষ মনে হলেও নান তৈরির অধিকাংশ প্রণালী দেখলেই জানা যাবে যে খাঁটি নান তৈরিতে ডিম ব্যবহার করা হয়। ডিমে নান নরম হয় ও ফুলে ওঠে।
২। চিজ: অনেক নিরামিষ পদেই এই খাবারটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কি অধিকাংশ চিজ উৎপাদনেই রেনেট নামক একটি উপাদান ব্যবহার করা হয়। এটি একটি প্রাণীজ উৎসেচক, যা পশুর পাকস্থলী থেকে পাওয়া যায়।
৩। তেল: মাঝেমাঝেই বিজ্ঞাপনে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ তেলের কথা প্রচার করা হয়। এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মূল উৎসই হল বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের তেল। অনেক তেলে আবার ল্যানোলিন থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন ডি থাকে। এই ল্যানোলিন ভেড়ার শরীর থেকে পাওয়া যায়।
৪। চিউইং গাম ও চকোলেট: অধিকাংশ চিউইং গামের যে রাবারের মতো গঠন, সেটি আসে জেলাটিন নামক একটি উপাদান থেকে। এই উপাদানটি কোলাজেন প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তৈরি হয়। সহজ কথায় বললে গবাদি পশুর চামড়া, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের মতো অংশ থেকেই পাওয়া যায় এই উপাদান। আবার কিছু কিছু চকোলেটে হোয়ে পাউডার ব্যবহার করা হয়। এই পাউডারেও সেই রেনেট নামক উপাদানটি ব্যবহার করা হয়।
৫। বিয়ার: বিয়ার খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়। কিন্তু অধিকাংশ বিয়ারেও থাকে এমন একটি উপাদান, যা মোটেই নিরামিষ নয়। উপাদানটির নাম ইসিনগ্লাস। মূলত বিয়ারকে স্বচ্ছ ও সোনালি করতে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই উপাদানটি মাছের পটকার প্রক্রিয়াজাত রূপ।