নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বর্ষায় ব্যাগে কয়েকটি জিনিস অবশ্যই রাখা জরুরি। প্রতীকী ছবি।
বৃষ্টির মরসুম মানেই মেঘের ঘনঘটা আর মাঝেমাঝেই অঝোর বর্ষণ। এমন আবহাওয়ায় জানলার ধারে বসে কফির কাপ হাতে বৃষ্টি দেখতেই ভাল লাগে। কিন্তু কাজের প্রয়োজনে জলকাদা ডিঙিয়েও বাইরে বেরোতে হয়। তাই বৃষ্টির সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি প্রস্তুত থাকাও জরুরি। বৃষ্টি খামখেয়ালি। কখনও ঝিরিঝিরি, আবার কখনও মুষলধারে— আকাশ কখন কালো করে আসবে আগে থেকে বলা যায় না। নিয়মিত যাঁদের বাইরে বেরোতে হয়, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যাগে কয়েকটি জিনিস অবশ্যই রাখা জরুরি।
ছোট ছাতা
বর্ষায় বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে মনে করে অবশ্যই ছাতাটি ব্যাগে ঢোকানো জরুরি। হুটহাট বৃষ্টিতে ছাতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অফিস কিংবা অন্য কোনও কাজে যাওয়ার পথে হঠাৎ বৃষ্টি নামলে ছাতা দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনো যাবে।
সুগন্ধি
বৃষ্টির কারণ মাঝেমাঝেই রেনকোট পরতে হচ্ছে। রেনকোট এমনিতে বেশ ভারী হয়। দীর্ঘ ক্ষণ পরে থাকার ফলে শরীর খুব ঘেমে যায়। ঘামের গন্ধে নিজের অস্বস্তি হতে থাকে। সে জন্য ব্যাগে এই সময়ে সুগন্ধি থাকা জরুরি। অফিসে পৌঁছে রেনকোট খোলার পর সুগন্ধি মেখে নিলে চনমনে লাগবে।
স্যানিটাইজার
বর্ষায় সংক্রমণের ভয় বেশি। তাই সব সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার আগে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা জরুরি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাবার খাওয়ার আগে স্যানিটাইজার না মেখে খাওয়া একেবারেই ঠিক হবে না। তাই ব্যাগে সব সময়ে স্যানিটাইজারের একটি বোতল রেখে দিন।
রুমাল
সঙ্গে ছাতা থাকলেও বৃষ্টির ছিঁটে গায়ে এসে লাগেই। আবার অনেকেই ছাতা নিয়ে যেতেও ভুলে যান। কোনও কারণে ভিজে গেলে জল মোছার জন্য রুমাল রাখুন সঙ্গে। অন্তত মাথা এবং হাত-পা মুছে নিলেও ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি কমবে।
ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ
দরকারি কাগজপত্র, কোনও যন্ত্রপাতি কিংবা অন্য কোনও প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে থাকলে সেগুলি একটি ওয়াটারপ্রুফ পাউচে ভরে তার পর ব্যাগে ভরুন। গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সুরক্ষিত রাখতে এ সময়ে জলরোধী ব্যাগ ব্যবহার করা জরুরি।