শুধু স্বাদের নয়, আচার যত্ন নেয় শরীরেরও। ছবি: সংগৃহীত।
মাছ কিংবা মাংস খাওয়ার পর শেষপাতে একটু আচার না হলে চলে না। যে কোনও খাবারের সঙ্গে এক চামচ আচার থাকলে সবেরই স্বাদ বদলে যায়। পরোটার সঙ্গে আচারের জুটি যেমন জনপ্রিয়, তেমন বর্ষায় খিচুড়ির সঙ্গেও আচার থাকলে আর কিছু লাগে না। কার বাড়িতে কত ভাল আচার বানানো হয়, তা নিয়েও অলিগলিতে চলে তর্ক। তবে আচার যে শুধুই স্বাদের খেয়াল রাখে, তা কিন্তু নয়। স্বাস্থ্যরক্ষাতেও আচারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আচারে থাকে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও আচারে ভিটামিন সি ও ই রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। পেশির নমনীয়তা বজায় রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। আর কী ভাবে শরীরের যত্ন নেয় আচার?
পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে
আচারে প্রোবায়োটিক উপাদান রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। যা পেটের গোলমালের ঝুঁকি কমায়। বর্ষায় পেটের সমস্যা লেগেই থাকে, আচার কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। আচারের প্রোবায়োটিক উপাদান হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আচারে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো উপকারী উপাদান। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেও আচার বেশ উপকারী। তাই মাঝেমাঝে খানিক ক্লান্ত লাগলে আচার খেতে পারেন, চাঙ্গা হয়ে উঠবেন।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে
ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে গ্যাস-অম্বল, বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় মূলে রয়েছে হজমের গোলমাল। অনেকেই হজমের গোলমাল দূর করতে নিয়মিত ওষুধ খান। এই ধরনেক ওষুধ বেশি না খাওয়াই ভাল। তার চেয়ে ভরসা রাখতে পারেন আচারের উপর। আচারের হজমের গোলমাল কমায়। আচার খেলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বাতের ব্যথা
আচার বাতের ব্যথা-বেদনা কমাতেও উপকারী। বাতের ব্যথা থাকলে রোজের খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখতে পারেন। এই টোটকাতেই কমবে ব্যথা। আচারে থাকা বিভিন্ন উপাদান পেশির নমনীয়তা হারাতে দেয় না। ফলে ব্যথা কমানো সহজ হয়।