দুধ নিয়ে অযথা ভয়? ছবি: সংগৃহীত।
ছোটবেলায় দুধ খাওয়া নিয়ে মায়ের সঙ্গে বিপুল ঝামেলা করেছেন। দুধ খাওয়ার পর বেশ কয়েক বার বমি হওয়ার পর থেকে আর দুধ খাওয়া নিয়ে কেউ বিশেষ জোর করেন না। তবে দুধ না খেলে যে ভাল ছেলে বা মেয়ে হওয়া যায় না, তা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। হাড়, দাঁত বা শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালশিয়াম। ভিটামিন ডি-সহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজের উৎস হল দুধ। তবে অনেকেই মনে করেন, দুধ খেলে হজমের সমস্যা হয়। হয়তো পরিচিত কারও দুধ খেয়ে কোনও এক দিন পেটের সমস্যা হয়েছিল। তার মানে সকলেরই যে একই রকম সমস্যা হবে এমনটা নয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দুধ নিয়ে এমন অনেক ধারণাই মনে পোষণ করেন সাধারণ মানুষ।
দুধের সঙ্গে মোটা হওয়া সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান যাঁরা, তাঁরা দুধ খান না ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দুধের সঙ্গে মোটা হওয়া সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। দুধের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ কেমন তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। শরীরচর্চা বা ডায়েট— যা-ই করুন না কেন, ফ্যাট ফ্রি বা ডবল টোন্ড দুধ খাওয়া যেতেই পারে। অনেকেই মনে করেন, দুধ বেশি ফোটালে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটিও আসলে ভ্রান্ত ধারণা। দুধের মধ্যে উপস্থিত ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে ধ্বংস করতে খাওয়ার আগে তা ফুটিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বার বার ফোটানোর পরেও দুধের পুষ্টিগুণ এতটুকুও কমে না। পাশাপাশি, দুধে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেশি। তাই হাড়ের যত্নে দুধের গুরুত্ব রয়েছে। অনেকেই ভাবে, দুধ বেশি খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।