মেয়ের জন্য আলিয়ার উদ্বেগ! ছবি: সংগৃহীত।
মা হওয়ার পর বেশ কিছু দিন কাজ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। তার পর পুরনো ছন্দে ফিরতে গিয়ে খাপ খাওয়াতে অসুবিধা হচ্ছে। কাজে মন দিতে পারছেন না। বার বার ভিডিয়ো কল করতে হচ্ছে। সন্তানের নাওয়া-খাওয়া নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা গ্রাস করছে। তাকে দেখার মতো লোকজন বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও একরত্তিকে ছেড়ে কাজে যোগ দেওয়া নতুন মায়েদের এমন উদ্বেগ অস্বাভাবিক নয়। কাজের পাশাপাশি, মনের উপর বাড়তি এই চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় কর্মরত নতুন মায়েদের। এই নিয়ে সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে ‘আস্ক মি এনিথিং’ সেশন-এ নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট।
মেয়ে হওয়ার পর বেশ কিছু দিন কাজ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। রাহা একটু বড় হতেই আবার একটু একটু করে পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করেছেন তিনি। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর পর তাঁকে আবার দেখা যায় ‘রকি অওর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবিতে। শুটিং-এর জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় আলিয়াকে। সর্বত্র মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পেশাদার হওয়ার পরেও একরত্তির সঙ্গে এই দূরত্ব কি তাঁর কাজে কোনও প্রভাব ফেলে না? সন্তানকে বাড়িতে রেখে আসার উদ্বেগ কম-বেশি সব মায়ের মধ্যেই থাকে। তাই এক অনুরাগী আলিয়ার কাছে জানতে চান, বছর খানেকের রাহাকে ছেড়ে থাকার এই উদ্বেগ তিনি কী ভাবে সামাল দেন?
আলিয়া জানান, তাঁর অনুপস্থিতিতে রাহাকে দেখার মতো অনেকেই রয়েছেন। তা সত্ত্বেও অদ্ভুত এক অপরাধবোধ কাজ করে। শিশুর জন্য মায়ের চিন্তা হবেই। এই উদ্বেগ একেবারেই অহেতুক নয়। আলিয়া বলেন, “যে পেশাতেই থাকুন না কেন, কাজ থেকে বিরতি নেওয়ার পর, আবার পুরনো ছন্দে ফিরে যাওয়া খুব সহজ নয়। নতুন মা, আবার এক জন পেশাদারও বটে। উত্তেজনা, ভয়, চিন্তা— এই সময়ে অনেকগুলি অনুভূতি মনের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করে। নিজে মা হওয়ার পর আমি প্রতিটি মায়ের লড়াই অনুভব করি।”