প্রেশার কুকারে কী কী রান্না করা যাবে না? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে কাজে বেরোনোর আগে হাতে সময় কম। এ দিকে, শিশুর টিফিনে ভালমন্দ কিছু একটা তৈরি করে দিতে হবে। রোজ মুখরোচক, কেনা খাবার দিলে সময় বাঁচবে, খাটনি কম হবে। কিন্তু শরীরের হাল খারাপ হবে। তাই তাড়াহুড়ো করে পাস্তা, স্যুপ কিংবা নুডল্স জাতীয় খাবার রান্না করে দেন। সময় বাঁচাতে গোটা বিষয়টিতে প্রেশার কুকারের শরণাপন্ন হন। তবে এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়।
প্রেশার কুকারে কী ধরনের খাবার রান্না করা যায় না?
১) সামুদ্রিক খাবার
সামুদ্রিক খাবার খুব নরম হয়। তাই প্রেশার কুকারে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, ঝিনুকের মতো খাবার রান্না করলে তা একেবারে গলে ঘ্যাঁট হয়ে যাবে। খাবারের স্বাদ নষ্ট হবে।
২) পাস্তা
পাস্তা বা নুডল্স ময়দা দিয়ে তৈরি। প্রেশার কুকারে এই ধরনের খাবার রান্না করলেও একই রকম হবে। পাস্তা বা নুডল্স সেদ্ধ হওয়ার বদলে ময়দার গোলা তৈরি হবে।
৩) দুগ্ধজাত খাবার
দুগ্ধজাত খাবার সাধারণত প্রেশার কুকারে রান্না করলে তার স্বাদ একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। হোয়াইট সস্, মেয়োনিজ়, ক্রিম কিংবা চিজ়ের মতো খাবারের টেক্সচার বদলে যেতে পারে।
মাড়-সহ ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ভাত
তাড়াতাড়ি রান্না করার জন্য অনেকেই প্রেশার কুকারে ভাত বানান। এই বাসনে রান্না করলে, ভাতের মাড় আলাদা করে ফেলা যায় না। মাড়-সহ ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, রান্না করার সময়ে স্টার্চ থেকে ‘অ্যাক্রাইলেমাইড’ নামক এক প্রকার রাসায়নিক নির্গত হয়। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
৫) শাক
পালং, কালে, লেটুসের মতো শাক খুব নরম হয়। কড়াইতে ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ করতে বেশ সময় লাগে। তাই যদি প্রেশার কুকারে শাক সেদ্ধ করতে যান, তা মোটেই ভাল হবে না। পাতার মণ্ড তৈরি হবে।