দক্ষিণ ভারত যদি গন্তব্য হয়। ছবি: সংগৃহীত।
কাজের জন্য বেশ কয়েক বছর থাকতে হয়েছিল দক্ষিণ ভারতে। তখনই ঠিক করে ফেলেছিলেন, বিয়ের পর মনের মানুষটিকে নিয়ে প্রথম বার এখানেই ঘুরতে আসবেন। তবে দক্ষিণ ভারত তো ছোট্ট একটু জায়গা নয়। পাহাড়, জঙ্গল, নদী, ঝরনা, হ্রদ, উদ্যান এবং চা বাগানের অপার সৌন্দর্যে ঘেরা এই জায়গা। সেখানকার মনোরম আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সারা বছর সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে বিয়ের পর প্রথম একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া বা মধুচন্দ্রিমা একটু আলাদা করে রাখতেই হয়। মধুর সেই যাপনকে স্মরণীয় করে তুলতে তালিকায় রাখতে পারেন দক্ষিণের পাঁচ শহরকে।
নীলগিরি পর্বতের কোলে তামিলনাড়ুর ছোট্ট শহর উটি। ছবি: সংগৃহীত।
১) উটি
নীলগিরি পর্বতের কোলে তামিলনাড়ুর ছোট্ট শহর উটি। বাঙালি অবশ্য উটিকে চিনতে শিখেছে ‘ছাঁইয়া ছাঁইয়া’ গানের সঙ্গে ট্রেনের উপর শাহরুখ খানের নাচ দেখে। পাহাড়, লেক এবং চা বাগানের সৌন্দর্য মনে রাখার মতো। মনের মানুষের সঙ্গে পাহাড় চূড়োয় নির্জন কোনও আস্তানা বেছে নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারেন কয়েকটা দিন। উটি কিংবা এমারেল্ড হ্রদে নৌকাবিহারও মনে রাখার মতো।
পশ্চিমঘাট পর্বতমালার কোলে কোদাগু জেলার ছোট্ট একটি জনপদ কুর্গ। ছবি: সংগৃহীত।
২) কুর্গ
পশ্চিমঘাট পর্বতমালার কোলে কোদাগু জেলার ছোট্ট একটি জনপদ কুর্গ। উঁচু-নিচু পাহাড়, আঁকাবাঁকা পথ, অবিশ্রান্ত গতিতে বয়ে চলা ঝরনা এবং কফির খেত। ছোটবেলায় গ্রিটিংস কার্ডে আঁকা গ্রামের ছবিই যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে এখানে। চাইলে মনের মানুষটির সঙ্গে রিভার র্যাফটিং করতে পারেন কাবেরী নদীতে। মন্দির এবং বৌদ্ধমঠের নিশ্চিদ্র নীরবতা উপভোগ করার মতো।
কেরলের জনপ্রিয় শৈলশহর হল মুন্নার। ছবি: সংগৃহীত।
৩) মুন্নার
কেরলের জনপ্রিয় শৈলশহর হল মুন্নার। ৫,২০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই শহরে প্রায় সারা বছরই বিরাজ করে শীত। কোচি থেকে মুন্নারের দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই যাত্রাপথের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে পারে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পাহাড়ের ধাপে ধাপে চা বাগান, বিভিন্ন মশলার বাগান, ঝর্না, হ্রদ এবং নদী— এই সবই রয়েছে মুন্নারে। শহরের কোলাহল থেকে দূরে, মেঘ-বৃষ্টির খেলা দেখতে দেখতে মনের মানুষটিকে নিয়ে হারিয়ে যেতে কয়েকটা দিন কাটিয়ে দিতে পারেন মুন্নারে।
মনের মানুষটির সঙ্গে দু’দণ্ড মুখোমুখি বসতে চাইলে চলে আসতে পারেন পুদুচেরি। ছবি: সংগৃহীত।
৪) পুদুচেরি
মনের মানুষটির সঙ্গে দু’দণ্ড মুখোমুখি বসতে চাইলে চলে আসতে পারেন পুদুচেরি। সমুদ্রসৈকতের নির্জনতা আর অপার শান্তির ঠিকানা হল এই পুদুচেরি। এই শহরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ঋষি অরবিন্দ এবং শ্রীমায়ের স্মৃতি। এক সময়ের উপনিবেশ এই পুদুচেরিতে এখনও ফরাসি প্রভাব স্পষ্ট। সারা বছরই বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা চলে। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে এসে খুব ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করেন না অনেকেই। তাঁদের জন্য এই সৈকতশহর।
৫) আন্দামান, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
মধুচন্দ্রিমার গন্তব্য হিসাবে এখন অনেকেই দেশের বাইরে মালয়েশিয়া, বালি, মলদ্বীপকে বেছে নিচ্ছেন। তবে হাতের কাছে আন্দামান নিকোবর থাকতে একগাদা খরচ করে বিদেশ যাওয়ার কাজের কথা নয়। স্কুবা ডাইভিং-সহ আধুনিক বিভিন্ন জলক্রীড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। এ ছাড়া রয়েছে একাধিক সমুদ্রতট। মধুচন্দ্রিমার গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়া যেতেই পারে এই দ্বীপপুঞ্জ।