হলুদ বেশি খাওয়া কেন স্বাস্থ্যকর নয়? ছবি: সংগৃহীত।
রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে ত্বকের পরিচর্যা, সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা— হলুদের কোনও বিকল্প নেই। হলুদের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণাও কম হয়নি। প্রতি বারই হলুদের ভিন্ন ভিন্ন গুণের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক এক ‘ম্যাজিক’ যৌগ, যা আদতে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই পলিফেনল যৌগটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও হলুদে রয়েছে ভিটামিন, নিয়াসিন, ক্যালশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো অসংখ্য উপকারী যৌগ। গাঁটের ব্যথা থেকে রেহাই পেতেও কিন্তু এই হলুদের উপরেই ভরসা রাখতে পারেন। তবে কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, সারা দিনে ৫০০ থেকে ২০০০ মিলিগ্রামের বেশি হলুদ খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
বেশি হলুদ খেলে কী হতে পারে?
১) শরীরে কারকিউমিনের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে পেটের সমস্যা শুরু হতে পারে। এর থেকে পেটের গোলমাল, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং ডায়ারিয়ার মতো সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।
২) বেশি হলুদ খেলে অনেকে মাথা ঘোরানো, গা গুলিয়ে ওঠার মতো সমস্যায় ভোগেন।
৩) অতিরিক্ত হলুদ খাওয়া অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের পক্ষে ভাল নয়। বেশি হলুদ খেলে জরায়ুতে চাপ তৈরি হতে পারে, ফলে সন্তানপ্রসবের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
সারা দিনে ৫০০ থেকে ২০০০ মিলিগ্রামের বেশি হলুদ খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। ছবি: সংগৃহীত।
কাদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে?
১) কিডনির সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, হলুদ তাঁদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। হলুদে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীরে পিত্ত নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
২) ‘গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজ়অর্ডার’-এর মতো জটিল সমস্যা থাকলে হলুদ এড়িয়ে চলাই ভাল।
৩) শরীরে ‘ব্লিডিং ডিজ়অর্ডার’ থাকলেও অতিরিক্ত হলুদ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।