প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
জিম খুলে গেলেও এখন অনেকে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। বাড়িতে নানা রকম জিমের সরঞ্জাম কিনে রাখার মতো অর্থ বা জায়গা অনেকেরই নেই। অন্য কোনও উপায় না পেয়ে অনেকেই সকাল বা সন্ধে হাঁটতে বেরোচ্ছেন। কিন্তু হাঁটাই যদি আপনার একমাত্র শরীরচর্চা হয়, তা হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
দৌড়ানো আর হাঁটা— দুই-ই শরীরচর্চার জন্য দারুণ উপকারী। কিন্তু দৌড়লে অনেকটা দূরত্ব দ্রুত যাওয়া যায়। শরীরের মাংসপেশি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুস শক্তিশালী করার জন্য দুই-ই উপকারী। কিন্তু দৌড়নোর প্রভাব অনেক বেশি। তাই যাঁরা নিয়মিত সকালবেলা দৌড়তে যান, সপ্তাহে একদিন হয়তো তারা সামান্য বিশ্রাম পাওয়ার জন্য স্বাভাবিক গতিতে হাঁটতে বেরোন।
তবে হেঁটেও অনেক সুফল পাওয়া সম্ভব। কিন্তু কী ভাবে হাঁটছেন সেটা খেয়াল রাখতে হবে। তাই প্রত্যেকদিন হাঁটার সময় এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন।
গতি
শুরুতেই খুব দ্রুত গতিতে আপনাকে হাঁটতে হবে না। কিন্তু ‘ব্রিস্ক ওয়াক’ করা প্রয়োজন। যদি কোনওদিন হাঁটার বা অন্য কোনও রকম ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকে তাহলে শুরুতে ২০ মিনিটে এক কিলোমিটার যাওয়া যাচ্ছে কি না দেখুন। একটু সড়গড় হয়ে গেলে চেষ্টা করুন ১৫ মিনিটে একই দূরত্ব যাওয়ার।
তবে এ ভাবে হাঁটার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি তাড়়াতাড়ি হাঁটলে নিঃশ্বাস ঘন ঘন নেবেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সেই অবস্থাতেও আপনি কথা বলতে পারছেন কিনা। কথা বলায় কোনও রকম অসুবিধা হলে গতি সেই অনুযায়ী হেরফের করতে হবে।
কী ভাবে হাঁটছেন
গতি বাড়ানোর জন্য কী ভাবে হাঁটছেন সেটা দেখা খুব জরুরি। যাঁরা নিয়মিত হাঁটেন তাঁরা একটি পদ্ধতি মেনে চলেন, যাকে বলা হয় ‘হিল-টো মেথড’। মানে হাঁটার সময়ে ভেবে নিন আপনার পিছনে কেউ রয়েছেন। যাঁকে আপনি প্রত্যকেবার জুতোর তলাটা দেখাতে চাইছেন। হাঁটার সময়ে পা তুলুন সেভাবেই।
হাত মুঠো করে সামনে-পিছনে দোলান হাঁটার সময়ে। কিন্তু সোজোসুজি ভাবে। দৌড়নোর মতো ভঙ্গিতে নয়। হাত দোলানোর সঙ্গে পায়ের ছন্দ ধীরে ধীরে মিলে যাবে। এবার দেখুন কতক্ষণে এক কিলোমিটার যেতে পারছেন। পরদিন সেই তুলনায় ৫ সেকেন্ডও তাড়াতাড়ি যেতে পারলে বুঝবেন কাজ দিচ্ছে।
প্রতীকী ছবি।
বিরতি নিয়ে গতি বাড়ান
এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘হাই ইনটেনসিটি ইন্টার্ভাল ট্রেনিং’ বা এইচআইআইটি। মানে কিছুটা সময়ে যত বেশি গতিতে পারেন হাঁটুন। আবার কিছুটা সময়ে স্বাভাবিক গতিতে হেঁটে একটু জিরিয়ে নিন। ফের দ্রুত গতিতে হাঁটুন। এভাবে হাঁটলে অনেক বেশি উপকার পাবেন।
যাঁরা মেদ ঝরানোর জন্য হাঁটেন, তাঁদের জন্য এই পদ্ধতি দারুণ কাজে দেয়।