দক্ষিণ কলকাতায় চালু হল পুরোপুরি মাছের পদের রেস্তরাঁ ‘ফিশ টিশ’। ছবি- সংগৃহীত
বাঙালি মৎস্যবিলাসী। বিশেষ আনন্দ-উৎসবে হোক কিংবা রোজের ভূরিভোজ— মাছ থাকা চাই-ই। মহানগরবাসীর এমন মৎস্যপ্রেমের কথা মাথায় রেখেই দক্ষিণ কলকাতায় চালু হল পুরোপুরি মাছের পদের রেস্তরাঁ ‘ফিশ টিশ’। সম্প্রতি হয়ে গেল তার উদ্বোধন। ভেটকি এবং চিংড়ি, মূলত এই দু’টি মাছের বিভিন্ন পদ পাওয়া যাবে এখানে। ভেটকি ফ্রাই, ভেটকি পাতুরি, ভেটকি আলা কিভ, বেকড প্রন, প্রন চিজ কাটলেট— সবই মিলবে ‘ফিশ টিশ’-এ।
মাছের এমন রকমারি পদ নিয়ে, শুধু মাছের উপরই ভরসা রেখে গোটা একটি রেস্তরাঁ তৈরির ভাবনার নেপথ্যে রয়েছেন সৌম্যজিৎ মজুমদার। ‘ফিশ টিশ’-এর কর্ণধার সৌম্যজিৎ অভিনেতা এবং পরিচালকও। বেশ কিছু বাংলা ছবিতে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছে। সৌম্যজিতের রেস্তরাঁর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার অভিনেতা-বন্ধু সোহম মজুমদার, দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, পূজারিণী ঘোষ। এলেন বলিউড অভিনেত্রী সায়নী গুপ্তও।
এ বছর পুজোয় মূলত মাছেরই কিছু নতুন পদ থাকবে ফিশ টিশ -এ। ছবি- সংগৃহীত
চিকেন-টিকেন, এগ-টেগ ছেড়ে কেন ‘ফিশ টিশ’-ই বেছে নিলেন সৌম্যজিৎ? আনন্দবাজার অনলাইনকে তার উত্তর দিলেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি খাদ্যরসিক। তবে মাছ খেতে ভালবাসতাম না। এক দিন গোটা একটা ফিশ ফ্রাই খেয়ে নিয়েছিলাম। তার পর বুঝলাম আর পাঁচ জন বাঙালির মতো মাছ আমারও প্রিয়। তাই যখন রেস্তরাঁ তৈরির কথা ভাবি, মাছের কথাই প্রথম মাথায় আসে।’’
‘ফিশ’ না হয় বোঝা গেল, ‘টিশ’ নিয়ে তো কৌতূহল থেকেই যায়! সৌম্যজিৎ বলেন, ‘‘টিশ নিয়ে বেশ কিছু ভাবনা আছে। সেগুলি ধীরে ধীরে সামনে আসবে। আপাতত এ বছর পুজোয় মূলত মাছেরই কিছু নতুন পদ থাকবে ‘ফিশ টিশ’-এ।’’