ভবিষ্যতের সুরক্ষায় কী ভাবে সঞ্চয় করবেন? ছবি: ফ্রি পিক।
জীবনে মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ভীষণ জরুরি, বুঝেছেন মহিলারা। বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতারও সঙ্গেও কাজ করছেন তাঁরা। কিন্তু ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে আর্থিক বিনিয়োগ নিয়ে কি সত্যিই ততটা মাথা ঘামান মহিলারা?
জীবনে চলার জন্য টাকা অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনীয় খরচ তো আছেই। সেটা বাদ দিয়ে অসুখ বা হঠাৎ কোনও প্রয়োজন হতে পারে একসঙ্গে অনেক টাকার। রয়েছে অবসর জীবনের ভাবনাও। প্রতি পদক্ষেপেই আর্থিক সুরক্ষার জন্য শুরু থেকেই দরকার সঞ্চয়।
আর্থিক সুরক্ষার জন্য সঞ্চয়ের পরিকল্পনা কী ভাবে করবেন?
১. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, তার সুদ কত আসছে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। ওই অ্যাকাউন্ট থেকেই যদি বিল দেওয়া, অন্যান্য খরচ করতে হয়, তা হলে তার পরিষ্কার হিসাব বুঝে নিতে হবে। আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখার অভ্যাস সঞ্চয়ের পরিকল্পনার প্রাথমিক ধাপ।
২. দৈনন্দিন খরচের পর কিছু টাকা সঞ্চয় করা খুব জরুরি। সঞ্চয়ের অভ্যাস করতে প্রতি মাসে ‘রেকারিং ডিপোজিটে’ কিছু টাকা জমা করতে পারেন। মাসিক বেতন বা আয়ের টাকা থেকে বিনিয়োগের জন্য জমা করার টাকা প্রথমেই সরিয়ে রাখুন। বেতন স্বল্প হলে এই ধরনের সঞ্চয় প্রকল্প খুব কার্যকর।
৩. এমন প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করুন, যা কম ঝুঁকির ও সুরক্ষিত। কিছু টাকা সেই খাতে রাখুন। মনে রাখতে হবে সেই সঞ্চয়ের টাকায় যেন কোনওভাবেই হাত না পড়ে।
৪. আর একটা অংশ জমান সন্তানের পড়াশোনার জন্য বা বেড়ানোর জন্য। হয়তো সন্তান ৫ বছর পর কলেজ যাবে। সেই সময়ে তার পড়াশোনার জন্য মোটা টাকার দরকার হতে পারে। সেই সময়টা খেয়াল করে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করুন। যাতে প্রয়োজনের সময়ে টাকা হাতে পাওয়া যায়।
৫. প্রয়োজন মতো ক্রেডিট কার্ড রাখুন। এ ক্ষেত্রে কোন ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড নিলে সুদের অঙ্ক কম হবে, তা বুঝে নিতে হবে। অনেক সময়ে আচমকা টাকার দরকার হলে ক্রেডিট কার্ড কাজে লাগতে পারে। তবে সময় মতো সেই ধার শোধ করাও জরুরি।
৬. অবসর জীবনের জন্য সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে এমন কোনও প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন, যেখানে মূলধনে হাত দেওয়ার দরকার হবে না। জমা রাখা মূলধন থেকে সুদের যে অর্থ মিলবে, তাতেই সংসার খরচ চালানো যাবে।
৭. বয়সকালে শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে পড়লে ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরে জমা রাখা অর্থ তুলতে বা প্রয়োজনের সময় হাতে পেতে অসুবিধা যাতে না হয়, সে জন্য বিনিয়োগে আপনার সঙ্গে আর কার নাম রাখবেন, সে বিষয়ে আগাম পরিকল্পনা করা খুব জরুরি।