সম্প্রতি নতুন একটি ছবির কাজে হাত দিয়েছেন ওনির। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালি সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপ হওয়ায় ইংরেজি থেকে আড্ডা গড়াল ঘরোয়া ভাষাতেও। দেশ-বিদেশের নানা জনের ভিড়ের মাঝেও কলকাতার কথা উঠল। পরিচালকের চোখমুখে একটু ঝিলিক যেন। কিন্তু ওনিরকে তো কখনও বাংলা ছবি বানাতে দেখা যায় না? কখনওই কি সে ভাষায় ছবি বানাতে চান না ‘মাই ব্রাদার নিখিল’-এর পরিচালক? কলকাতার উপর কোনও অভিমান আছে কি?
কলকাতার উপর কখনওই অভিমান নেই। ‘‘তবে এখনই বাংলা ভাষায় কাজ করার কোনও ভাবনা নেই,’’ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন ওনির। সঙ্গে জুড়লেন, ছবি বানানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন কলকাতা থেকেই। বাঙালি পরিচালকদের ছবি দেখে বড় হয়েছেন। সম্প্রতি নতুন একটি ছবির কাজে হাত দিয়েছেন তিনি। ওনির বললেন, ‘‘নতুন ছবি ‘উই আর স্টোরিজ’-এর কিছুটা অংশ কলকাতায় শুট করা হবে। এ বছরের শেষের দিকে কলকাতায় গিয়ে কাজ করব হয়তো।’’ তবে সেই ছবি বাংলায় হচ্ছে না।
মুম্বইতে কাজ করলেও কলকাতার প্রতি ভালই টান আছে ওনিরের। গল্পের মাঝে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথাও বলে ফেললেন। জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলি ভালই ছিল। তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগও তাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে। এখনও সেখানকার কাউকে দেখলে আনন্দ হয় ওনিরের। সম্প্রতি তাঁর বই নিয়ে কলকাতায় একটি আলোচনাসভা ছিল। সেখানে হঠাৎ দেখেন দর্শকাসনে বসে আছেন তাঁর এক অধ্যাপক। ওনির বলেন, ‘‘নিজের শিক্ষককে দেখে খুব আনন্দ হয়েছিল। বেশ ভাল লাগল।’’
ওনিরের কাছে কলকাতা হল স্বপ্ন দেখার শহর। বলেন, ‘‘থিমপু আমার বাড়ি। কলকাতায় এসে আমি স্বপ্ন দেখতে শিখেছি। জার্মানিতে শিখেছি ছবি বানানোর খুঁটিনাটি। আর মুম্বই হল কাজের শহর।’’ সেই শহরে গিয়েই উড়তে শিখেছেন, জানান বাঙালি চলচ্চিত্রকার।