বিশ্বকাপ জেতার খিদে ছাড়াও আর্জেন্টিনা দলের এমন চাঙ্গা থাকার আরও একটি বড় কারণ হল এক ধরনের পানীয়। ছবি: সংগৃহীত
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মেসি। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না করলেও এটাই যে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ, তা তিনি আগেই জানিয়েছেন। ফাইনালে মেসির মুখোমুখি ফ্রান্স। প্রতিপক্ষ নিঃসন্দেহে শক্তিশালী। ফলে লড়াই হবে জোরদার।
প্রথম দিকে মন্থর গতিতে শুরু করলেও, গোটা দলের চনমনে ভাবটা বজায় ছিল। জেতার খিদে ছাড়াও আর্জেন্টিনা দলের এমন চাঙ্গা থাকার আরও একটি বড় কারণ হল এক ধরনের পানীয়।
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মেসি। ছবি: সংগৃহীত
ম্যাচ চলাকালীন নিজেদের চাঙ্গা রাখতে অনেক কিছুই করে থাকেন ফুটবলাররা। আর্জেন্টিনা স্কোয়াডও বাদ পড়েনি সে তালিকা থেকে। দলের অন্যান্য ফুটবলার তো বটেই, মাঝেমাঝে এই জাদু পানীয়ে চুমুক দেন মেসিও। খেলা চলাকলীন নিজেদের আর্দ্র রাখা খুব জরুরি। শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হলে সহজেই হাঁপিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে কোনও স্বাস্থ্যকর পানীয়ে ভরসা রাখেন ফুটবলাররা। খেলার সময়ে নিজেদের চাঙ্গা রাখতে কী খান মেসি এবং তাঁর সতীর্থরা? তাঁরা খান ক্যাফিন-সমৃদ্ধ এক ধরনের পানীয়। দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অংশে জনপ্রিয় এটি। ক্যাফিন থাকলেও কফি নয়। স্বাদে খানিকটা মিল থাকলেও থাকতে পারে। ইয়ারবা মেটের শুকনো পাতা দিয়ে তৈরি হয় এই পানীয়। গরম কিংবা ঠান্ডা— দু’ভাবেই খাওয়া যেতে পারে এটি। ম্যাচের পরে টিম বাসে বসে মেসি-সহ দলের প্রায় প্রত্যেকেই এই পানীয়ের স্বাদ নেন। আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টার আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘আমরা খেলা শেষের পর সকলে একত্রিত হয়ে এই পানীয়ের স্বাদ নিই।’’ ২৬ বছর বয়সি আর্জেন্টিনার দলের ফুটবলার সেবাস্তিয়ান ড্রিউসি জানিয়েছেন, এই পানীয় তাঁদের সকলকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। জলের মতো কাজ করে এটি। জল তেষ্টা পেলেই এই পানীয়তেই চুমুক দেন তাঁরা। এমনকি, সকলের লকারেও একটি করে এই স্বাস্থ্যকর পানীয়ের বোতল রাখা থাকে।